লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে কত হাজার কিলোমিটার দখলে রেখেছে লালফৌজ! চিনা আস্ফালন অব্যাহত
লাদাখ জুড়ে ক্রমাগত চিনা সেনার দাপট বাড়তে শুরু করেছে সীমান্তের ওপারে। ভারতীয় গোয়েন্দাবিভাগের খবর বলছে, চিন ক্রমাগত সীমান্তের ওপারে বাড়িয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাবল। এর জন্য লালফৌজের পেশীশক্তি সীমান্তের সংলগ্ন এলাকা জুড়ে কতটা বিস্তৃত তা প্রকাশ্যে এসেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে যাচ্ছে চিন
দেখা গিয়েছে ডেপসাং এলাকার সংলগ্ন সীমান্তে ক্রমাগত সেনা সংখ্যা বাড়িয়ে নিচ্ছে চিন। চুশুলের কাছে একটি নিয়মিত ধারা বজায় রেখে ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে লালফৌজের সংখ্যা , যা ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত।
পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০-১৩ তে কী ঘটেছে?
লাদাখে দেখা গিয়েছে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০ থেকে ১৩ র মধ্যে থাকা ৯০০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ক্রমাগত দাপট বাড়াচ্ছে লালফৌজ। এদিকে, সীমান্ত সংলগ্ন একটা বড় এলাকা নিজের বদে দাবি করতে শুরু করে দিয়েছে চিন।
কতখানি এলাকায় দখল?
এক সূত্রের দাবি অনুযায়ী, ১০-১৩ ফিঙ্গার পয়েন্টের ৯০০ স্কোয়ার কিলোমিটার ধরলে, তার সঙ্গে গালওয়ানের ২০ স্কোয়ার কিলোমিটার, হটস্প্রিংয়ের ১২ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা চিনের দখলে রয়েছে। এদিকে, প্যানগং এলাকার ৬৫ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা দখলে রেখেছে চিন। অন্যদিকে, চুশুলের ২০ স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকায় দখল রয়েছে চিনের। সব মিলিয়ে প্রকৃত সীমন্তের ১০০০ স্কোয়ার কিলোমিটার নিজের বলে দাবি করছে চিন।
লাদাখ ঠান্ডা রাখতে চুশুল বৈঠক
সোমবারের পর মঙ্গলবারও চুশুলে সেনার ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের হাইভোল্টেজ বৈঠক শুরু হয়েছে। কীভাবে সীমান্ত সংঘাত মেটানো যায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বৈঠক। প্যানগংয়ের দক্ষিণপ্রান্তকে ঠান্ডা করতে শুরু হয়েছে বৈঠক।
লাদাখের বৈঠকে দুটি বিতর্কিত এলাকা
উল্লেখ্য, লাদাখের ব্ল্যাক টপ ও হ্যামলেট টপ এলাকা নিয়ে ভারত এদিন প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে বলে খবর। এলাকাগুলি ভারতের অংশ বলে জাবি করা হয়েছে। যদিও চিন তা মানতে রাজি নয়।