লাদাখ সংঘাতের মাঝে চিন-প্রীতি উড়িয়ে কেন দিল্লিকে তোয়াজ নেপালের! কোন প্রজেক্টে লোভাতুর দৃষ্টি ওলির
ভারতের বিরুদ্ধে চিনের উস্কানির পেয়ে ক্রমাগত বিগত কয়েক মাস পারদ চড়িয়েছে নেপাল। যদিও কাঠমাণ্ডুর দৌড় চুপচাপ পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছিল দিল্লি। তারপর সময় আসতেই ধীরে ধীরে ৪৫ দিনের ব্ল্যাক চ্যানেল কূটনীতির ফসল পেতে থাকে দিল্লি। সংঘাতের রাস্তা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি এখন কী চাইছেন দেখে নেওয়া যাক।

ভারতীয় সেনা প্রধানর হাইভোল্টেজ সফর
প্রসঙ্গত ৪ নভেম্বর ভারতীয় সেনা প্রধান এমএম নরভানে নেপালে সফরে যাবেন। সেখানে তাঁকে সম্মানীয় পদে নেপাল সেনার প্রধানের তাজ তুলে দেবেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি। আর এই কাজে যিনি বাধা দিচ্ছিলেন , নেপালের সেই মন্ত্রীকেও পদ থেকে সরিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি দিল্লির দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরপর ওলির নজরে কোন বিষয় দেখে নেওয়া যাক।

মহাকালী নদী ও বড় প্রজেক্ট
ভারতের সেনা প্রধানের সফরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি পঞ্চেশ্বর প্রজেক্টের প্রসঙ্গ তুলতে পারেন বলে খবর। সূত্রের দাবি, মহাকলী নদীর ওপর পঞ্চেশ্বর প্রজেক্ট নিয়ে রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এই জলবিদ্যুৎ প্রজেক্ট নেপালকে বহু বিষয়ে লাভবান করবে। ফলে ভারতের সেনা প্রধানের সফর ঘিরে মুনাফা দেখতে চাইছে নেপাল।

চিনকে ধাক্কা দিয়ে নেপালে বাজিমাত করার পথে ভারত!
প্রসঙ্গত, চিন , নেপালে একাধিক প্রজেক্টে বিনিয়োগ করে কার্যত সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জিনপিং পন্থী করে তুলেছিল। এদিকে, চিনের দেখানো সেই রাস্তায় হেঁটে খোদ বেজিংকেই মাত দিতে চলেছে দিল্লি। নেপালে একাধিক প্রজেক্টে এবার বিনিয়োগের বার্তা নিয়ে নেপালে যাচ্ছেন দেশের সেনা প্রধান।

নেপালে কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের বিনিয়োগের ভাবনা?
জানা গিয়েছে, নেপালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বিনিয়োগ করবে ভারত। এছাড়াও দিল্লি চাইছে নেপালের জলকষ্টের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে। যা নেপালের রাজনীতির ইস্যুর অন্যতম বিষয়। ফলে পানীয় জল ও কৃষিক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা নেবে দিল্লি। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বিহার ও নেপাল সীমান্তের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নদীতে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি ঐলোচনা করবে দিল্লি।

নেপালের ভারত বিরোধিতা ও দিল্লি
এদিকে, নেপালের ভারত বিরোধিতা ও উত্তরাখণ্ডের তিনটি এলাকা দখলের দাবি নিয়ে দিল্লি বিতর্কের অবসান চাইছে বলেই শোনা যাচ্ছে। দিল্লি জানিয়েছে, নেপালের ওই দাবি, নিছ কই নেপালের ঘরোয়া রাজনীতির ফসল। অন্যদিকে ওলি নিজেও বিষয়টি নিয়ে গুটিয়ে গিয়েছেন। ফলে সবমিলিয়ে চিনের বাড়া ভাতে ছাই ফেলে দিল্লি কূটনৈতিক যুদ্ধ জিতে নিচ্ছে নেপালের বিরুদ্ধে।

শুভেন্দুকে বিজেপিতে আহ্বান জানালেন সৌমিত্র, একুশের আগে খেল শুরু মুকুলের