দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের শক্তি আস্ফালনকে ফের টার্গেট ভারতের! আসিয়ান থেকে জয়শঙ্করের ঝাঁঝালো তোপ
দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের শক্তি আস্ফালনের ধারা কিছুতেই ভারত মেনে নিতে পারছে না। কোয়াড বৈঠক থেকে শুরু করে সেই বার্তা দিল্লি স্পষ্ট করার পর আসিয়ানের সামিটেও বিষয়টি স্পষ্ট করেছে ভারত। দিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে যে যেভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে ক্ষমতা জাহির করা হচ্ছে, তা নিয়ে লাদাখ সংঘাতের আবহে আসিয়ান সামিটে জোরদার বার্তা দিয়েছে ভারত।

জয়শঙ্করের তোপ চিন নিয়ে
আসিয়ান সামিটে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইন্দো পেসিফিকে ও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের শক্তি দেখানোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সোজাসুজি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন এলাকার সাগর জলে ১০ দেশের আগ্রহ রীতিমত তাৎপর্যবহ। এই প্রসঙ্গে ইন্দোপেসিফিক নিয়ে বিভিন্ন দেশের সদ্য ঘোষিত নীতিকে তিনি তুলে ধরেন।

দক্ষিণ চিন সাগর ও বিদেশমন্ত্রী
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরে যেভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ধারা অব্যাহত, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসিয়ানে বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী জানান, এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যাতে দক্ষিণ চিন সাগরে পারিপার্শ্বিক আস্থা ভঙ্গ হচ্ছে।

দক্ষিণ চিন সাগরে কীসের লোভ চিনের?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চিন সাগরে বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে উঠছে বেজিং। এদিকে, ফিলিপিন্স, ভিয়েৎনাম, ব্রুনেইের মতো দেশ হাইড্রোকার্বনের উৎসব। আর তা দখল করে বাণিজ্যিক শক্তির চাবিকাঠি চিন নিজের হাতে রাখতে চাইছে। তাই দক্ষিণ তিন সাগরের আশপাশের দেশে চিন বিস্তারবাদে বুঁদ হচ্ছে।

জয়শঙ্কর কী মনে করিয়ে দিলেন?
এদিকে আসিয়ান সামিটে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দিয়েছেন, 'UNCLOS' মেনে দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় প্রতিটি দেশের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চিনকে টার্গেট করে তার নাম না নিয়ে বার্তা দেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে কোভিড পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগর, কোরিয়ান পেনিনসুলা ও রাখাইনে এলাকার বহুবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে। এই এলাকায় প্রতিটি দেশের সংঘবদ্ধ হয়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বিদেশমন্ত্রী সরব হয়েছেন।