লাদাখ সংঘাতের আবহে পাকিস্তানে শীতের বরফপাতের আগে সক্রিয় জঙ্গি লঞ্চপ্যাড! ২৫০জন স্ক্যানারে
মূলত, কাশ্মীর সীমান্তে যে চেনা ছকে পাকিস্তান জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটায় , তা হল, একপ্রান্তে পাকিস্তানি সেনা আচমকা এলোপাথারি গোলা বর্ষণ করতে থাকে ভারতীয়সেনার পোস্ট ঘিরে,আর ভারত তার জবাব দিতে গেলে , সেই ফাঁকে সীমান্তে জঙ্গি চলাচল ঘটায় ইসলামাবাদ। কাশ্মীরের শীতে এই ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। তবে এবার শীতের বরফপাতের আগেই পিওকেতে ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে জঙ্গি লঞ্চপ্যাড।
২৫০ জঙ্গি নজরে!
এক গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানে ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে জঙ্গি লঞ্চপ্যাড। এবারে কাশ্মীরের শীতে বরফপাতের আগেই পাকিস্তান ২১৫ যথেকে ২৫০ জন জঙ্গিকে ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর ছকে রয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই অনুপ্রবেশকারীরা নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। যখন তারা অনুপ্রবেশের জন্য পা বাড়াতে পারবে।
সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ পরিস্থিতি
সেনাসূত্রের খবর, পাকিস্তানের থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ অনেকটাই কমেছে কাশ্মীরে। ২০১৯ সালের তুলনায় এবছর তা প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। এবিষয়ে ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস সীমান্তে জাগ্রত প্রহরায় রয়েছে। সূত্রের দাবি গত বছর এই সময় ১৩০ জন মতো জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে। তবে এবছর তা কমে ৩০ হয়েছে বলে খবর।
১৮০ জঙ্গি নিকেশ
২০০২ সালের শুরু থেকেই ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে জঙ্গি নিধনের অভিযানে জোরদারভাবে নামে। কাশ্মীরে মোট ১৮০ জন জঙ্গি এখনও পর্যন্ত সেনার হাতে নিকেশ হয়েছে বলে খবর। ঘটনায় সেনার ৫৫ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন।
লাদাখ সংঘাত, ও চিন-পাকিস্তানের 'মিশন'!
প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আগেই জানিয়েছেন, যেভাবে চিন ও পাকিস্তান ভারতের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গোটা পরিস্থিতিটাই তারা পরিকল্পিতভাবে 'মিশন 'হিসাবে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, লাদাখ পরিস্থিতি যেখানে ক্রমেই উদ্বেগজনক দিকে যাচ্ছে, তখন কাশ্মীরে জঙ্গিমদত নিয়ে আরও জোরদার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। ফলে চিন ও পাকিস্তান দুই দেশই যে ক্রমাগত ভারত বিরোধীতায় বুঁদ হয়ে রয়েছে , তা বলাই বাহুল্য।