লাদাখ সংঘাত পরিণত হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধে! চিনকে টেক্কা দেওযার কতটা কাছে ভারত?
করোনা আবহে দেশের অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে ফেরাতেই আনলক ১ চালু হয়েছে। দেশকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই এর লক্ষ্য। এই অবস্থায় দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে এরই মধ্য এক দারুণ সুখবর ভারতের জন্য।
ভারতের জন্য সর্বকালীন রেকর্ড
করোনা আবহেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে জমা পড়েছে ৩.৪৩ বিলিয়ন ডলার। যার ফলে দেশের বর্তমান ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্ভ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৩.৪৮ বিলিয়ন ডলারে। যা ভারতের জন্য সর্বকালীন রেকর্ড।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের খতিয়ান
এর আগে ৩১ মে পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.০০৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৪৯০.০৪৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এই মুহুর্তে গোটা দেশ জুড়ে বন্ধ উৎপাদন। চরম অর্থনৈতিক সংকট এর মুখে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা। পাশাপাশি আক্রমণ হয়েছে পঙ্গপালের। সার্বিক ভাবে অর্থনৈতিক সংকটের সময় এই খবর একটু স্বস্তি দিল।
চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির খতিয়ান
এদিকে এরই মধ্যে লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাতের জেরে বেশ প্রভাবিত হতে চলেছে দেশের অর্থনীতি ও কোষাগার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারত চিনের থেকে বাণিজ্যের পরিমাণের নিরিখে ৪৮.৬৬ বিলিয়ন পিছিয়ে। আগের বছরের তুলনায় ভারতের জন্য বিশাল উন্নতি।
চিনের বাণিজ্যে ভারতের পূর্ণচ্ছেদ
এই আবহেই লাদাখের অশান্ত পিরিস্থিতির মাঝে দেশের দুটি বড় প্রোজেক্ট থেকে আগেই বাদ দেওয়া হয় চিনা সংস্থাকে। অর্থমন্ত্রক ও বাণিজ্যমন্ত্রক উভয়ই চিনা পণ্যের রমরমার উপর পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে৷ কারণ তা দেশীয় শিল্পগুলির ক্ষতি করছে৷ চিনের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ভারতীয় রেলের ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড।
ব্যান হচ্ছে চিনা পণ্য
লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের পরই চিনকে অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে ভারত৷ অ্যান্টি-ডাম্পিং অ্যাকশনের দিকে তাকিয়ে কমপক্ষে ১০০টি চিনা পণ্য৷ ৫জি বাজারের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে চিনা সংস্থাগুলির অংশগ্রহণ-সহ ভবিষ্যতে চিনের বিনিয়োগকেও নিষিদ্ধ করা হতে পারে৷
চিনা অ্যাপ ব্যান
প্রসঙ্গত, লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে সংঘাতের মাঝে সোমবার রাতেই টিকটক ও ইউসি ব্রাউজার-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। এই মাসের শুরু থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল৷ ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনাকর্মী৷ তারপরই আলোচনা চলতে থাকে দুই দেশের মধ্যে৷ এই সব কারণে চিনের বাণিজ্যের পরিমাণ অনেক বেশি কমে যাবে। আর ভারত বেজিংয়ের আরও কাছে পৌঁছে যাবে।
চিনের ভারত বিরোধী চাল রুখতে একজোট আমেরিকা-জার্মানি! রাষ্ট্রসংঘে জোর ধাক্কা খেল বেজিং, ইসলামাবাদ