চাহিদা মেটাতে জার্মানি থেকে অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট এয়ারলিফট করে আনবে ভারত
একদিকে যখন করোনার গ্রাফ উপরের দিকে উঠছে, সেই পরিস্থিতিতে কার্যত অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে দেশ। দেশের একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন বহু করোনা আক্র
একদিকে যখন করোনার গ্রাফ উপরের দিকে উঠছে, সেই পরিস্থিতিতে কার্যত অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে দেশ।
দেশের একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন বহু করোনা আক্রান্ত।
তাই এবার অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। জার্মানি থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হবে ২৩ টি মোবাইল অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট।
গোটা দেশজুড়ে যখন অক্সিজেনের জন্যে হাহাকার পরিস্থিতি তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে প্রত্যেকটি অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্টের প্রতি মিনিটে অক্সিজেন উৎপাদন করার ক্ষমতা ৪০ লিটার, আর প্রতি ঘন্টায় ২৪০০ লিটার।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র এ ভারত ভূষণ বাবু জানিয়েছেন, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল সার্ভিস হাসপাতালগুলিতে রাখা হবে প্লান্ট গুলি। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে সেগুলি। প্রয়োজনে সেখান থেকে তৈরি হওয়া অক্সিজেন সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই করোনা অতিমারির মোকাবিলা করার জন্য দেশের তিন বাহিনীকে বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
করোনাভাইরাসের মত অদৃশ্য এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে তিন বাহিনী সাহায্য করতে পারে, সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।
বলা প্রয়োজন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এ ভারত ভূষণ বাবু জানিয়েছেন, জার্মানি থেকে মোট ২৩ টি মোবাইল অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা হবে।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেগুলি ভারতে আসবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কাগজপত্রের কাজ মিটে গেলেই জার্মানি থেকে যাতে দ্রুত প্লান্ট গুলি নিয়ে আসা যায় তার জন্য বায়ুসেনা তে বলা হয়েছে ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফটগুলি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সি-১৭ গ্লোব মাস্টার সহ বিমানগুলিকে বায়ুসেনার তরফে তৈরি রাখা হয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে যেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন দ্রুত তা পৌঁছে দেওয় হচ্ছে।