গণপিটুনির শিকার এবার দেশের প্রাক্তন সেনা ক্যাপ্টেন! নারকীয় হত্যাকাণ্ড বিজেপি শাসিত রাজ্যে
যখন আক্রমণ হয়, তখন বাড়িতেই ছিলেন প্রাক্তন সেনা ক্যাপ্টেন আমানুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে , মারধর শুরু করে।
যখন আক্রমণ হয়, তখন বাড়িতেই ছিলেন প্রাক্তন সেনা ক্যাপ্টেন আমানুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে , মারধর শুরু করে। ৬৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সেনা ক্যাপ্টেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। কিন্তু এই নারকীয় মৃত্যু একাধিক প্রশ্ন ফের তুলে দিয়ে গেল ১৩০ কোটির দেশের সামনে।
গণপিটুনি
নিয়ে
কয়েককদিন
আগেই
বিশিষ্টজনরা
চিঠি
পাঠিয়েছিলেন
প্রধানমন্ত্রীর
কাছে।
যার
উত্তরে
কড়া
জবাব
দেয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সময়ের
নিরিখে
আরও
খানিকটা
পিছনে
যাওয়া
যাক।
সপ্তদশ
লোকসভা
নির্বাচনে
বিজেপির
জয়লাভের
পরই
লোকসভায়
মোদী
তাঁর
প্রথম
ভাষণে
জানিয়েছিলেন,
সংখ্যালঘুদের
ওপর
আর
কোনওরকমের
অন্যায়
অত্যাচার
বরদাস্ত
করা
হবে
না।
বিজেপি
শাসিত
যোগীরাজ্যের
এই
ঘটনা
নিঃসন্দেহে
সেই
সমস্ত
পুরনো
রাজনৈতিক
অধ্যায়কে
আবার
মনে
করিয়ে
দিচ্ছে
বলেই
মত
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকদের।
বিজেপি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সংসদীয় এলাকা আমেঠিতে প্রাক্তন সেনা ক্যাপ্টেনের মৃত্যুর নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে তার তদন্ত করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ডাকাতি রুখতে গিয়েছিলেন আমানুল্লাহ।আর তার জেরেই মারধর চলে। এদিকে, অন্য একটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী বাড়িতে চড়াও হয়ে লাঠি দিয়ে আমানুল্লাহকে মারধর করে। লাঠির আঘাত মাথায় করা হয়। যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন আমানুল্লাহর পরিজনরা। এরপরই অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা চম্পট দেয়। মৃত্যু হয় আমানুল্লাহর। দেহ আপাতত ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত জুনেই যোগা আদিত্যনাথ সরকারের তরফে গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়। তাতে আইনি পরিস্থিতি সঠিক রাখা নিয়ে সরব হন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তবে আমেঠির সাম্প্রতিক ঘটনা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক বড় প্রশ্ন চিহ্ন রেখে গিয়েছে।