'কে বলেছে..' অসম্ভকে ছোঁয়া যায় না! গান্ধীদের বিরুদ্ধে আমেঠির যুদ্ধে স্মৃতির ঝোড়ো ইনিংসে ফের প্রমাণ
'কে বলে .. অসম্ভবকে ছোঁয়া যায় না..' কবি দুষ্মন্ত সিং এর এই লাইন টুইট করে স্মৃতি ইরানি আরও একবার দেশের রাজনীতিতে তথা মানুষের জীবনবোধকে ছুঁয়ে বার্তা দিয়েছেন, .. চাইলে সব কিছু সম্ভব হয়।
'কে বলে .. অসম্ভবকে ছোঁয়া যায় না..' কবি দুষ্মন্ত সিং এর এই লাইন টুইট করে স্মৃতি ইরানি আরও একবার দেশের রাজনীতিতে তথা মানুষের জীবনবোধকে ছুঁয়ে বার্তা দিয়েছেন, .. চাইলে সব কিছু সম্ভব হয়।
একজন টেলিভিশন অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিতি পেয়ছিলেন। সেভাবে বলিউডের কোনও নামজাদা স্টার ছিলেন না স্মৃতি। সেই জায়গা থেকে রাজনীতিতে পদর্পন। কার্যত মোদীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা। আর এরপর থেকে যা ঘটেছে স্মৃতির জীবনে, তা অনেককেই উৎসাহিত করতে পারে।
রাহুল-স্মৃতি লড়াই
আমেঠির ভূমিকন্যা ছিলেন না স্মৃতি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, বাইরে থেকে আসা একজন সাধারণ প্রার্থী হিসাবে হাইভোল্টেজ আমেঠিতে ২০১৪ সালে লড়াইয়ে নেমেছিলেন এই বিজেপি প্রার্থী। নামের সঙ্গে শুধু জুড়েছিল 'অভিনেত্রী' শব্দটি। কারণ তখনও সেভাবে বিজেপির দাপুটে 'নেত্রী' হয়ে উঠতে পারেননি স্মৃতি। আর উল্টো দিকে ছিল দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বলা চলে, লড়াইটা ছিল, গান্ধী বংশের দাপটের সঙ্গে এক সাধারণ ঘর থেকে উঠে আসা মহিলার।
মাটি আগলে পড়ে ছিলেন
২০১৪ সালে আমেঠি তাঁকে ১ লাখ ভোটের পরাজয় ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাতে হার মানেননি এই আত্মবিশ্বাসী বিজেপি কর্মী। কার্যত হারের দিন থেকে নিজের জয়ের গেমপ্ল্যান একটু একটু করে ছকে ফেলেছিলেন স্মৃতি ইরানি। আমেঠির ২০১৪র লড়াইয়ের পর সেখামনে মাটি আগলে পড়েছিলেন এই নেত্রী। বিজেপির পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা পাওয়ার পরই বারবার আমেঠি যাতায়াত শুরু করেন স্মৃতি। হেরে গিয়েও সেই জায়গার মানুষের মন হুঝতে, এলাকার বেশি সময় কাটাতে শুরু করেন তিনি।
রাহুলের ফুলটস বলে স্মৃতির বাউন্ডারি!
অন্যদিকে, কংগ্রেসের একের পর এক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে আমেঠিকে কার্যত হাতের পুতুল ভেবে ফেলেছিলেন রাহুল। রাহুল যখন আমেঠিতে সময় দিতেন না, তখন স্মৃতি সেখানে গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থক থেকে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ বাড়িয়ে তুললেন। ভোটের প্রচারে বেরিয়েও দেখা যায় তিনি এলাকায় একবার আগুন লাগার ঘটনায় কীভাবে জল নিয়ে এসে , মানুষের সঙ্গে হাত লাগান। ফলে জনসংযোগ এই ৫ বছরে বাড়তে থাকে।
লড়াই সহজ ছিল না
মূলত স্মৃতির লড়াই ছিল আমেঠির মাটিতে গান্ধীদের নিয়ে মানুষের আবেগের সঙ্গে। ১৯৯৮ সাল বাদে গত ৩ দশকে আমেঠি থেকে গান্ধীদের কেউ উপড়ে ফেলতে পারেনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত। আর সেই বিষয়টিকেই স্মৃতি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখেছিলেন। অসম্ভব ছিলই! কারণ দেশের নামজাদা রাজনৈতিক পরিবারের বিরুদ্ধে এক সাধারণ মহিলারা রাজনৈতিক লড়াই নিঃসন্দেগে সহজ ছিল না। যেখানে বার বার গান্ধী- আবেগ উস্কে দিতে প্রচার চালিয়েছে কংগ্রেস। প্রচারে আসেন সোনিয়া থেকে প্রিয়ঙ্কা। তবে সেই সমস্তকে ছাপিয়ে স্মৃতির এই যুদ্ধ, আমেঠির মানুষের কাছে 'স্মৃতি'ময় হয়ে থাকবে।
[আরও পড়ুন: এবার কি হারাতে হবে সভাপতির পদ! অমিত শাহকে নিয়ে জল্পনা শুরু]
|
নতুন সূর্যোদয়!
এদিন সকালেই স্মৃতি ইরানি টুইট করে জানিয়ে দেন, এবার আমেঠির জন্য একটি নতুন সকাল আসতে চলেছে। পাশাপাশি আমেঠির উন্নয়নে তিনি বদ্ধপরিকর বলেও তিনি জানান। তবে ২০১৯ এ স্মৃতির দেওয়া প্রতিশ্রুতি,.. কাজের ওপর পরবর্তী পর্যায়ে আমেঠির ভোটব্যাঙ্কের গতিপ্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করছে।