মোদীর নীতিই পাকিস্তান-চিনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে, রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনায় আমেরিকাও
মোদীর নীতিই পাকিস্তান-চিনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে, রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনায় আমেরিকাও
মোদীর নীতির কারণেই পাকিস্তান এবং চিন কাছাকাছি এসেছে। গতকাল সংসদে এমনই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের সমর্থন করে না আমেরিকা। এমনই জানিয়েছেন আমেরিকার মুখপাত্র। রাহুল গান্ধী বলেছেন আমেরিকার সুরে কথা বলছে মোদী সরকার। সেকারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে আমেরিকা।
রাহুলের মন্তব্যের বিরোধিতা
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মার্কিন নীতি নিয়ে মন্তব্যের বিরোধিতা করল আমেরিকা। রাহুল গান্ধী গতকাল সংসদে দাবি করেছিলেন যে মোদী সরকার আমেরিকার নির্দেশ মেনে কাজ করছে। আর সেকারণেই পাকিস্তান এবং চিন কাছাকাছি চলে এসেছে। আমেরিকার পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আমেরিকার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এরকম কোনও বক্তব্যকে তারা সমর্থন করে না। আমেরিকা কোনও রকম প্রভাব বিস্তার করেনি। এবং এই নিয়ে চিন এবং পাকিস্তানেরও বিবৃতি জারি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার মুখপাত্র।
রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত মন্তব্য
গতকাল লোকসভা অধিবেশনে প্রথম বক্তা ছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি সরাসরি মোদী সরকারের বিদেশনীতির সমালোচনা করেছেন। রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, মোদী সরকারের একাধিক নীতি আমেরিকার প্রভাব রয়েছে। মোদী সরকারের ভুল নীতির কারণেই চিন এবং পাকিস্তান কাছাকাছি চলে এসেছে বলে দািব করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরেই গোটা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সমালোচনা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
কড়া প্রতিক্রিয়া জয়শঙ্করের
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি টুইটে রাহুল গান্ধীকে পাল্টা নিশানা করে বলেছেন, ১৯৯৩ সালে পাকিস্তান বেআইনি ভাবে সাকসগাম ভ্যালি িচনের হাতে তুলে দেয়। ১৯৭০ সালে বেজিং সেখানে কারাকোরাম হাইওয়ে তৈরি করে। পরমাণু অস্ত্র তৈরি নিয়ে আগেই দুই দেশ কাছাকাছি চলে এসেছিল। ২০১৩ সালে পাকিস্তান-চিন ইকোনমিক করিডর তৈরি করা শুরু হয়েছিল। কাজেই তখনও পাকিস্তান-চিনের সম্পর্ক কাছাকাছি ছিল।
রাহুল গান্ধীর ক্ষমা দাবি
পাকিস্তান-চিন মন্তব্য নিয়ে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। একাধিক বিজেপি নেতা টুইটারে রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ক মোদীর দেশভক্তির অবমাননা করছেন। কাজেই কংগ্রেস নেতার উচিত প্রকাশ্যে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া। এর আগেও লাদাখ সীমান্ত নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েিছলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।