১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনালয় আইনের সংশোধন, মোদীকে চিঠি লিখে দাবি জানালেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী
১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনালয় আইনের সংশোধন, মোদীকে চিঠি লিখে দাবি জানালেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ধর্মীয় উপাসনালয় আইন ১৯৯১, সংশোধন করার দাবি জানালেন শীর্ষ বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
এ বছরের ২৯ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে স্বামী জানিয়েছেন যে ১৯৯১ সালে ধর্মীয় উপাসনালয় আইনকে সংশোধন করা হোক যা উপাসনার অধিকারের পরিপন্থী। বিজেপি নেতা বলেন, 'কংগ্রেস আমলে নরসিংহ রাও প্রধানমন্ত্রী কালীন এই আইনটি কার্যকর করা হয়। মৌলিক অধিকারসমূহের সংশোধন বা পরিবর্তিত সংসদ বা সংসদ কর্তৃক কোনও আইন দ্বারা করা যায় না। কিন্তু ধর্মীয় উপাসনালয় আইনটি সংবিধানের ২৫ ও ২৬ অনুচ্ছেদে প্রার্থনা করার মৌলিক অধিকারকে খর্ব করেছে। সুতরাং আইন মন্ত্রকের উচিত এই আইনটিকে সংশোধন করা।’ সম্প্রতি অযোধ্যা ছাড়া ১৯৪৭ সাল থেকে দেশের সব মন্দিরে স্থিতাবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কাশী ও মথুরাতে নতুন আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে। কারণ অযোধ্যার ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির তৈরির পক্ষে রায় ঘোষণার পর থেকেই কাশী–মথুরা–আগ্রাতে নতুন করে ভয় সঞ্চার হয়েছে। কারণ এখানেও রয়েছে বিতর্কিত মসজিদ।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কঠোর আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, 'তিনি অর্থনীতির কিছু জানেন না।’ এখানে উল্লেখ্য, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী মোদী সরকারের আর্থিক নীতিকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন এবং ধীরগতিতে অর্থনীতি চলছে তা মানতে নারাজ সীতারমন। এক সাক্ষাতকারে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, 'আপনি যদি সাংবাদিক সম্মেলনটি দেখেন তবে নির্মলা সীতারমন আমলাদের হাতে মাইক ধরিয়ে দিচ্ছে উত্তর দেওয়ার জন্য। দেশের আজকের সমস্যা কি? চাহিদা কমে গিয়েছে। সরবরাহ করাটা সমস্যার নয়। কিন্তু তিনি কি করছেন? কর্পোরেশনের ওপর থেকে রাজস্ব কমিয়ে দিচ্ছেন। তাদেরকে শুধু ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তিনি এও জানান যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপদেষ্টা কমিটি তাঁকে এই সত্যটা জানাতে ভয় পায়।
যমুনার নদীর জল বিক্রির সিদ্ধান্ত হিমাচল প্রদেশ সরকারের