আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে রহস্যজনক ইনোভা গাড়ি উদ্ধার পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে, ব্যবহার করতেন বেজ
আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে রহস্যজনক ইনোভা গাড়ি উদ্ধার পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে পাওয়া বিস্ফোরক–ভর্তি এসইউভি গাড়ির পেছনে থাকা সাদা রঙের ইনোভা গাড়িটি মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের নেতৃত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর সচিন বেজ ব্যবহার করতেন বলে জানা গিয়েছে। এনআইএর এক সূত্র এই তথ্য দিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই এসইউভি থেকে একটি হুমকি চিঠিও পাওয়া যায়।
এনআইএ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইনোভা গাড়িটি
এনআইএ ইতিমধ্যে শনিবার রাতে নাগপাড়ায় মুম্বই পুলিশের মোটর পরিবহন বিভাগের থেকে ওই সাদা রঙের ইনোভা গাড়িটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এর আগেই আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে এনআইএ গ্রেফতার করেছে সচিন বেজকে। রবিবার এনআইয়ের বিশেষ আদালত বেজকে ১২দিনের এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে উদ্ধার
এনআইএর এক আধিকারিক জানান, সাদা রঙের ওই গাড়িটি মুম্বই পুলিশের হেড কোয়ার্টারের ভেতর পার্ক করে রাখা ছিল। পুলিশের এক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ওই গাড়িটি সিআইইউ ব্যবহার করে। এক শীর্ষ আইপিএস অফিসার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ওই গাড়িটি সিআইইউ ব্যবহার করে এবং মুম্বই পুলিশের হেডকোয়ার্টারে পার্ক করে রাখা থাকে। এনআইএ ওই গাড়িটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আমরা তা তাদের হাতে তুলে দিই।'
পুলিশ খুঁজে পায়নি ইনোভা গাড়ি
এর আগে মুকেশ আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডের তদন্ত করছিল সিআইইউ, তারাও এই সাদা রঙের গাড়িটির খোঁজ করছিল। কিন্তু এটা খুবই আশ্চর্যজনক বিষয় যে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে পার্ক করে রাখা সাদা রঙের ইনোভা গাড়িটিকে তারা সনাক্ত করতে পারছিল না এতদিন। যদিও এ প্রসঙ্গে আইপিএস অফিসার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বোমাতঙ্কের ঘটনার দিন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসইউভি গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে আসে এবং তার পেছনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল ইনোভা গাড়িটি।
বোমাতঙ্ক কাণ্ডে একাধিক মানুষ জড়িত
এনআইয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সরকারি আইনজীবী সুনীল গনসালভিস আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়েছেন যে তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আদালতকে তিনি এও জানান যে বেজের ইউনিট যেহেতু প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছিল তারা সব তথ্যই জানে, তাই তাঁর হেফাজত না দেওয়া তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এনআইএ এও জানিয়েছে যে এই ষড়যন্ত্র এবং তা কাজে পরিণতি দেওয়া কোনও একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এনআইএ খতিয়ে দেখতে চায় যে এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল।
পরিবারের সমর্থন বেজকে
যদিও বেজের ছোট ভাই সুধারমা বলেন, 'আমরা খুব চিন্তিত রয়েছি দাদাকে নিয়ে এবং সম্পূর্ণভাবে তাঁকে সমর্থন করি। তিনি কখনই আমাদের সঙ্গে তাঁর পেশাগত জীবন নিয়ে কথা বলেননি তাই আমি জানি না কে তাঁকে এভাবে ফাঁসাচ্ছে এবং কেন। কিন্তু এটা আমার বিশ্বাস তাঁকে ভুলভাবে ফাঁসানো হয়েছে। দাদা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কখনও কিছু বলতেন না কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ পোস্টে তিনি আত্মহত্যা করতে চাইছেন তা উল্লেখ করেছিলেন।'
সিআইইউয়ের আরও ৪ জনকে তলব
এনআইএ এই ঘটনায় সিআইইউয়ের এক এপিআই ও এক কনস্টেবল সহ আরও ২ জনকে তলব করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। একদিকে এনআইএ বোমাতঙ্কের তদন্ত যেমন করছে অন্যদিকে এটিএস মনসুখ হিরেনের খুনের তদন্তে নেমেছে, যিনি এসইউভি গাড়িটি আগে ব্যবহার করতেন, যাঁর দেহ উদ্ধার হয় গত ৫ মার্চ খাঁড়ি থেকে।
ঘুম ছুটিয়েছে মহারাষ্ট্র, হু হু করে বাড়ছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, কমছে সুস্থতার হার