আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক কাণ্ডে গাড়ির মালিকের মৃত্যুতে নয়া তথ্য, নাম জড়ালো ২ পুলিশ অফিসারের
মুকেশ
আম্বানির
বাড়ি
'অ্যান্টিলিয়া’র
বাড়ির
সামনে
থেকে
উদ্ধার
এসইউভি
গাড়ির
মালিক
তথা
৪৭
বছরের
ব্যবসায়ী
মুকেশ
হিরানির
রহস্যজনক
মৃত্যুতে
নতুন
মোড়
খুঁজে
পেয়েছে
পুলিশ।
পুলিশ
ব্যবসায়ীর
পরিবারকে
জানিয়েছে
যে
তাঁকে
খাঁড়ির
মধ্যে
ফেলে
দেওয়ার
আগেই
তাঁর
মৃত্যু
হয়েছিল।
পুলিশ
জানিয়েছে,
হিরেনের
দেহ
যখন
উদ্ধার
করা
হয়,
তখন
তাঁর
মুখ
রুমালের
স্তরে
মাস্কের
মতো
করে
ঢাকা
দেওয়া
ছিল।
পুলিশ
জানিয়েছে,
চিকিৎসকরা
মনসুখ
হিরেনের
মৃত্যুর
কারণ
পুলিশের
কাছে
জমা
দিয়েছে।
যদিও শনিবার মনসুখের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তাঁরা যতক্ষণ না ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা দেহ গ্রহণ করবে না। তবে শনিবার সন্ধ্যাতেই মনসুখের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং ওইদিনই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শুক্রবার সকালে রেটি বন্দর থেকে মনসুখের দেহ উদ্ধার হয়। ওইদিনই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ হাসপাতাল থেকে চারজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল ময়নাতদন্ত করে মনসুখ হিরেনের। পুরো পদ্ধতিটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে এবং পরবর্তী পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা ও ভিসেরা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ডিসিপি (জোন ১) অভিনাশ আম্বুরে হিরেনের বাড়ি যান এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যা পাওয়া গিয়েছে তা জানান। হিরেনের বড় ভাই বিনোদ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের পুলিশ জানিয়েছে যে খাঁড়িতে ফেলার আগে মনসুখকে খুন করা হয়।’
শুক্রবার রাতে হিরেন তাঁর অফিস থেকে বের হন এবং তাঁর মোবাইল রাত সাড়ে দশটার পর বন্ধ হয়ে যায়। তদন্তে উঠে এসেছে যে, পুলিশ হিরেনের মোবাইলের শেষ লোকেশসন পেয়েছে ভাসাইয়ের কাছে একটি গ্রামে। যদিও পুলিশ এখনও ফোনটি উদ্ধার করতে সফল হয়নি। পুলিশ এও খুঁজছে যে হিরেনের সঙ্গে থাকা জিনিস কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছে এবং কীভাবে তাঁর দেহ রেটি বন্দর উপকূলে এল। মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শনিবার সকালে এটিএস রেটি বন্দরে যায় এবং তদন্তের জন্য তারা থানে ও মুম্বই পুলিশের কাছ থেকে জরুরি কাগজপত্র নেবে।
এরই মধ্যে এই ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিটের অফিসার সচিন ভেজ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এই ঘটনায় সচিন ভেজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, গাড়ি চুরি হওয়ার পরে হিরেন মুম্বইয়ের ক্রফোর্ড মার্কেটে সচিনের সঙ্গে দেখা করেন। সে দিন আম্বানীর বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভর্তি স্করপিওর কাছে সচিনই সবচেয়ে আগে পৌঁছেছিলেন বলে দাবি করেন ফড়নবীশ। এরপরই সচীন ভেজ মুম্বই পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিংয়ের সঙ্গে শনিবার দেখা করেন। তিনঘণ্টার বৈঠক চলে দু’জনের মধ্যে। সূত্রের খবর, হিরেনের মৃত্যুর সঙ্গে আরও এক পুলিশ কর্মী তাওদের নাম জড়িয়ে পড়েছে, যিনি কান্দিভিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইউনিটের অফিসার। হিরেনের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে তাওদে ফোন করে গোদবন্দর রোডে তদন্তের খাতিরে আসতে বলে। তারপর থেকেই নিখোঁজ মনসুখ। যদিও সচিন ভেজ তাওদে নামের কোনও পুলিশ অফিসারকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় একটি স্করপিও গাড়ি। যার ভেতর থেকে ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আম্বানি পরিবারকে দেওয়া একটি হুমকি চিঠিও পাওয়া যায়। এরপরই এই গাড়ির সঙ্গে হিরেনের যোগসূত্র পাওয়া যায়। কাকতালীয়ভাবে ওই ব্যবসায়ী নিজের গাড়ির চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ভিখরোলি পুলিশের কাছে।