তথ্য সুরক্ষা বিল প্রসঙ্গে সংসদীয় কমিটির হাজিরা এড়াল অ্যামাজন! পিছনে কী অন্য কোনও রহস্য?
বিজেপি-ফেসবুক আঁতাতের অভিযোগ সামনে আসার পর তথ্য সুরক্ষা বিলকে আধার করে রোজই সামনে আসছে নিত্য নতুন বিতর্ক। এরই মাঝে বৃহঃষ্পতিবার যৌথ সংসদীয় কমিটি ফেসবুক, ট্যুইটার আর অ্যামাজন, পেটিএম, গুগল সহ তাবড় তাবড় টেক জায়ন্ট গুলিকে প্রশ্নোত্তরের জন্য ডাকলে তা প্রত্যাখ্যান করে অ্যামাজন।

শুক্রবার একথা জানান ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা সম্পর্কিত বিষয়ে লেখির সভাপতিত্বে সরকারী প্যানেলই গোটা বিষয়টির তদারকি করছে বলেও খবর। এই জন্য এর আগেই ফেসবুক, ট্যুইটার আর অ্যামাজন, পেটিএম, গুগলের মতো সংস্থার কাছে প্রতিনিধিদের সওয়াল-জবাবের জন্য তলব করা সরকারের তরফে। কিন্তু তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে অ্যামাজন।
যদিও পড়ে অ্যামাজনর তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয় তাদের সমস্ত কর্তাব্যক্তিরা এই মুহূর্তে বিদেশে থাকার কারণেই কোনও ভারতীয় প্রতিনিধি আজ হাজিরা দিতে পারেননি। যদিও তাদের এই আচরণ সরকার ভালো ভাবে নেয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। আগামীতে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত উপযুক্ত তথ্যাদি সঠিক ভাবে পেশ করতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
এদিকে বিজেপির সঙ্গে ফেসবুকের আঁতাতের অভিযোগে কিছুদিন আগেই উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। ব্যবসায়িক লাভের জন্য বিজেপি নেতাদের হিংসায় উস্কানি বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যেকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। বেশি বিজ্ঞাপন টানতেই এই কাজ করেন ফেসবুক ইণ্ডিয়ার পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ আঁখি দাস। এদিন তিনিও যৌথ সংসদীয় কমিটির জেরার মুখে পড়েন বলে জানা যায়।
আঁখি দাসের পাশাপাশি ফেসবুকের ব্যবসায়ীক প্রধান অজিত মেনন এদিন সংসদীয় কমিটির সামনে হাজির হয়েছিলেন বলে খবর। তখনই তাদের সাফ জানানো হয় বিজ্ঞাপন বা ব্যবসার এমনকী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের অনুমানমূলক উদ্দেশ্যে তাঁরা কখনই কোনও নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যে হাত দিতে পারবেন না। বা সেগুলিকে নিয়ে নিজেদের ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন না।
একইসাথে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব তথা সাংসদেরা মোট কত টাকা তথ্য সুরক্ষার জন্য বর্তমানে ব্যয় করছে তাও ফেসবুকের কাছে জানতে চাওয়া হয় যৌথ সংসদীয় কমিটর তরফে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তথ্য ও গোপীনয়তার বিষয়ে আরও বিশদে আলোকপাত করতে এবং আগামীতে আর কোনও ধরণের ভুল এড়িয়ে যেতে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯ প্রতিট টেক জায়ান্টকেই খুঁটিয়ে পড়তে বলা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বছরই সংসদে তথ্যের সুরক্ষা আর গোপনীয়তা বিষয়ক বিলটি খসড়া প্রবর্তন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। অন্যদিকে অ্যামাজনঅ্যামাজন ও টুইটার এই দুটি সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের আগামী ২৮ অক্টোবর ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।