আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রী! বেস ক্যাম্পে উদ্বেগে তীর্থযাত্রীরা
পহেলগাঁও থেকে অমরনাথ যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। খারাপ আবহওয়া বিশেষ করে ভারী বৃষ্টি এবং একের পর এক ধসের কারণে প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পহেলগাঁও থেকে অমরনাথ যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। খারাপ আবহওয়া বিশেষ করে ভারী বৃষ্টি এবং একের পর এক ধসের কারণে প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক একদিন আগেই একই কারণে বালতাল থেকেও অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখা হয়।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের সোমগ্রামে ঝিলাম নদী বিপদ সীমার প্রায় ২১ ফুট ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাশ্মীর ডিভিশনের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জম্মু পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়া এবং রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় বালতাল এবং পহেলগাঁও রুটে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে।
এবারের অমরনাথ যাত্রার তৃতীয় ব্যাচের পূর্ণার্থী, যাঁরা ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন, যাঁদের পহেলগাঁও হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তাঁদেরকে টিকরি বেস ক্যাম্পে থামিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, খারাপ আবহাওয়া এবং বন্যার সতর্কতার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। টিকরি বেস ক্যাম্পে একটি বড় হল ঘরে পূর্ণার্থীদের রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁদের খাবারও বিতরণ করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল প্যান্থর্সপার্টির রাজ্য সভাপতি বলবন্ত সিং মানকোটিয় বলেছেন, প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ পূণ্যার্থী টিকরি ক্যাম্পে আটকে পড়েছেন। তাদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়া এবং রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় বেস ক্যাম্প থেকে কোনও যাত্রীকেই অমরনাথের দিকে এগোতে দেওয়া হচ্ছে না। আবহাওয়া ভাল হলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিকেলের দিকে আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন, আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর সোনম লোটাস।
শুক্রবার ২৬০ কিমি দীর্ঘ জম্মু শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ের রামসুর গ্যাংরোতে ধস নামে। সব আবহাওয়া খোলা থাকা এই রাস্তায় ধস নামায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হাজারো গাড়ি এবং অমরনাথ যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া কনভয় আটকে পড়ে।
এবছরে প্রায় দুলক্ষ তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। গতবছরের নথিভুক্ত তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় দু লক্ষ ষাট হাজার।