জগদীশ টাইটলারকে ক্লিনচিট দিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের ক্ষোভের মুখে অমরিন্দর সিং
শিখ বিরোধী দাঙ্গায় কীভাবে জগদীশ টাইটলারকে অমরিন্দর ক্লিনচিট দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিখ সম্প্রদায়। সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধকারী শিখ সম্প্রদায়ের একটি দল। এর পাশাপাশি অমরিন্দরের মন্তব্যের জন্য তাঁকে বিঁধেছেন একই কেন্দ্র অর্থাৎ অমৃতসর থেকে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী অরুণ জেটলি।
এপ্রসঙ্গে জেটলি বলেন, রাজ্য সরকারের উস্কানিতে হওয়া হিংসায় দোষীদের এখনও পর্যন্ত কোনও সাজা হয়নি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরে শিখদের উপর হওয়া হিংসায় যেখানে ৩০০০-এর বেশি শিখের মৃত্যু হয়েছিল তা গণতন্ত্রের কালোদিন বলে ব্যাখ্যা করেছেন জেটলি।
এই ঘটনায় কংগ্রেসের গোপন আঁতাত প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন জেটলি। লুঠ আর হত্যার রাস্তাকে প্রশস্ত করা হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে এই হিংসা যুক্তিসঙ্গত ছিল বলেও নিজের ব্লগে লিখেছেন জেটলি।
১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গা অন্যতম অভিযুক্ত জগদীশ টাইটলারকে অমরিন্দর সিং ক্লিন চিট দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল। বাদল জানিয়েছিলেন, অমরিন্দর শেষ মেশ তাদের বেছে নিল যারা একসময় নিষ্পাপ শিখদের হত্য়া করেছে। অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে অমরিন্দর ঘোষণা করল টাইটলার দোষী নয় বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন বাদল।
যদিও প্রকাশ সিং বাদলের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অমরিন্দর। তাঁর অভিযোগ, তাঁর মুখের কথাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি কাউকে ক্লিনচিট দিইনি বা শুধু বাদল কাউকে দোষী বলছেন বলে তাকে দোষীও সাব্যস্ত করিনি। কোনও আদালতেও এখনও টাইটলারকে দোষী সাব্যস্ত করেনি। আমি শুধু সেটাই বলেছি যা ১৯৮৪ সালে দাঙ্গার পর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে লোকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছিলাম।
উল্লেখ্য, অমরিন্দর বলেন, আমার মনে পড়ে ৮৪ সালের দাঙ্গার পর আমিই প্রথম ব্যক্তি ছিলাম যে দিল্লি গিয়েছিলাম। আমি সেখানে ছিলাম। সবার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সজ্জন কুমার, এইচ কে এল ভকতের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। টাইটলারের সঙ্গে দেখা হয়নি। যখন এই ঘটনায় ওর নাম জড়ালো তখন লোকসভা নির্বাচনের জন্য দিল্লি থেকে দাঁড়িয়েছেন টাইটলার। এই হিংসার ঘটনায় সিবিআইএর ক্লিনচিট দেওয়ার পরেও দিল্লি কোর্ট পুনর্তদন্তের নির্দেশ দেন।