Punjab Election: পাটিয়ালা থেকে লড়েই ক্ষমতায় আসব! হুঙ্কার ছাড়লেন ক্যাপ্টেন
পঞ্জাবে খেলা শুরু! যত ভোটের দিন এগিয়ে যাচ্ছে তত বদলাচ্ছে সে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজনীতির ময়দানে একে অপরকে আক্রমণ তেজ বাড়াচ্ছে। কিন্তু অমরিন্দর সিংকে নিয়ে ক্রমশ চড়ছিল জল্পনা। কারন নির্বাচনের মুখে তাঁর করোনা ধরা পড়
পঞ্জাবে খেলা শুরু! যত ভোটের দিন এগিয়ে যাচ্ছে তত বদলাচ্ছে সে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজনীতির ময়দানে একে অপরকে আক্রমণ তেজ বাড়াচ্ছে। কিন্তু অমরিন্দর সিংকে নিয়ে ক্রমশ চড়ছিল জল্পনা। কারন নির্বাচনের মুখে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। ফলে ভোটের ময়দানে তাঁর নামা নিয়ে একটা অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।
যদিও সেই জল্পনার অবসান! একেবারে সদলবলে ভোটের ময়দানে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে তাঁর দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। জোট বেঁধে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে নামছেন তাঁরা। তবে ক্যাপ্টেনের আসন নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। কোন আসনে লড়বেন তিনি? তবে আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই সংশয় নিজেই কাটিয়েছেন।
অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে পাটিয়ালা আসন থেকে লড়বেন। তিনি জানিয়েছেন, ৩০০ বছরের পুরানো পরিবার এবং ঘর কখনই ছাড়ব না। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পঞ্জাবের মানুষের জন্যে যে কাজ করেছি সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই এবার ভোটে লড়ব বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের পরে কংগ্রেস কিংবা আপের সঙ্গে জোটের পথে যাবেন অমরিন্দর? সেই প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, জোটের কোনও প্রশ্নই নেই। তবে তাঁর আশা বিজেপি এবং শিরোমণি আকালি দলের সঙ্গেই জট বেঁধে পঞ্জাবের বুকে নয়া ইতিহাস তৈরি হবে। অর্থাৎ পঞ্জাব লোক কংগ্রেসই ক্ষমতায় আসবে বলে নিশ্চিত অমরিন্দর।
কিন্তু করোনা অবস্থা এবং কমিশনের কড়া নিয়ম থাকায় প্রচারে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১১৭টি বিধানসভা আসনে গিয়েই মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সিধুকে কংগ্রেসে নেওয়া নিয়ে মুলত রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সংঘাত অমরিন্দরের। আর এই সংঘাতের পথেই গত কয়েকমাস আগে কংগ্রেস ছাড়েন ক্যাপ্টেন। ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী পদও। এরপর দফায় দফায় অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। এবং নয়া দল গঠন। আর এরপরেও বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে পঞ্জাব ভোটে লড়াইয়ের ক্যাপ্টেন।
অন্যদিকে, পাঞ্জাব নির্বাচন হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এক দিনেই হবে ১১৭টি কেন্দ্রের নির্বাচন। গণনা হবে ১০ মার্চ। ভারতের সবচেয়ে বড় জনমত সমীক্ষা করেছে দেশের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এই সমীক্ষা অনুযায়ী পাঞ্জাববাসীদের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে প্রথম পছন্দ চরণজিৎ সিং চান্নি এবং এরপরই দ্বিতীয় পছন্দ হিসাবে নাম উঠে এসেছে আম আদমি পার্টির ভগবত মানের।