আক্রান্ত কমলেও পরিসংখ্যানের ভ্রান্তিতেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা? কবে থামবে মৃত্যুমিছিল?
আক্রান্ত কমলেও পরিসংখ্যানের ভ্রান্তিতেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা? কবে থামবে মৃত্যুমিছিল?
বর্তমানে গোটা দেশে অনেকটাই নেমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও এখনও জারি রয়েছে মৃত্যু মিছিল। এমনকী গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনার কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৩২৯ জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড। এদিকে এর আগে ১১ মে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা পোঁছেছিল ৪ হাজার ২০৫। কিন্তু সমস্ত রকম প্রতিরোধ সত্ত্বেও কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না এই মৃত্যু মিছিল।
চিন্তায় বাড়াচ্ছে করোনায় মৃত্যুর গ্রাফ
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে গত ১২ দিন একটানা করোনা সংক্রমণ বাড়াতে থাকার পর তা ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে। যদিও শুরুতে দুই সপ্তাহব্যাপী করোনা আক্রান্তের গ্রাফ উঠতে থাকলেও মৃত্যুর গ্রাফে বিশেষ পরিবর্তন দেখা যায়নি। তারপরেই ধীরে ধীরে তা বাড়তে শুরু করে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই ট্রেন্ড অনুসরণ করলে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করার কিছু সপ্তাহ পরে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে মৃতের সংখ্যাও।
পুরনো পরিসংখ্যানেই উর্ধমুখী মৃত্যু
অন্যদিকে অনেক রাজ্যেই করোনা পরিসংখ্যানে একাধিক গোলোগের চিত্র ধরা পড়েছে। করোনা তালিকা তাত্ক্ষণিক ভাবে আপডেটের বদলে অনেক রাজ্যই কিছুদিন আগে এমনকী সপ্তাহ খানেক আগেও করোনায় মৃতেদের তালিকায় নতুন করে আপডেট করছেন। যার ফলেও মৃতের সংখ্যা উর্ধমুখী হয়ে রয়েছে বলে অনুমান অনেকের। প্রশ্ন উঠছে একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ভূমিকা নিয়েও।
পরিসংখ্যানের ভ্রান্তিতেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ?
যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মহারাষ্ট্রে সোমবার মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১১৯। এর মধ্যে ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে শনি থেকে সোমবারের মধ্যে। অন্যদিকে এই তালিকায় থাকা মৃতদের মধ্যে আবার ২২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান খাতায় উঠতে উঠতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। এই ঘটনা ঘটছে অন্যান্য একাধিক রাজ্যেও। ফলস্বরূপ করোনায় দৈনিক মৃত্যু গ্রাফ সর্বদাই অনেকটা উপরের দিকে থাকছে।
টিকা বণ্টনে হু-র চাপের মুখে সিরাম, ভারতের সঙ্কটের জেরে প্রশ্নের মুখে কোভ্যাক্স ফেসিলিটি
সর্বাধিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ৫ রাজ্য
অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতি যা তাতে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো পাঁচ রাজ্যে দৈনিক গড়ে ৩০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার আয়তনে অনেকটাই ছোট রাজ্য হলেও উত্তরাখণ্ডে মারা যান ২২৩ জন। এর মধ্যে ৮০ জনই আগের দিনের বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বর্তমানে দেশের মধ্যে ১২ টি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত গড়ে দৈনিক ১০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলছে। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।