প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগের সবকটি আঙুল পাঞ্জাব পুলিশের দিকে
প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় গাফিলতির অভিযোগের সবকটি আঙুল পাঞ্জাব পুলিশের দিকে
দেশের প্রধান সেবক তিনি। মানুষের আশীর্বাদে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতার মসনদে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেই তাঁর নিরাপত্তাতেই কিনা ত্রুটি। বুধবার পঞ্জাবের ফিরোজপুরের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকায়। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ১৫-২০ মিনিট কেন দাঁড়িয়ে থাকল, প্রশ্নের জবাবে পঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে তাদের নাকি প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে কিছু জানানোই হয়নি।
কী উঠে আসছে তদন্তে?
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াসনের বন্দোবস্ত করেছিল এসপিজি এবং পঞ্জাব প্রশাসন। নতুন বছরের পয়লা এবং ২রা জানুয়ারি ঠিক হয়েছিল সবকিছু। ভাতিণ্ডা থেকে ফিরোজপুর অবধি সফরের খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়েছিল৷ কথা ছিল, সর্বোত্তম সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হবে। গোয়েন্দারা অবশ্য এক্ষেত্রে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও আঁচ করতে পেরেছিলেন।
কী ছিল পরিকল্পনা?
কিন্তু ৪ জানুয়ারির পর হঠাৎই পরিকল্পনায় বদল আসে। যে রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা ছিল, পথ বদলান প্রধানমন্ত্রী। পঞ্জাব পুলিশ দাবি করছে, এই বদলের কথাই জানা ছিল না তাদের৷ জানা যাচ্ছে, প্রথমে হেলিকপ্টারে যাত্রার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু পরেএসপিজি প্রধান পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপির সঙ্গে ভাতিণ্ডা থেকে ফিরোজপুর অবধি সুরক্ষিত পথ সফর নিয়ে আলোচনা করেন৷ সেই আলোচনার পরই পঞ্জাবের ডিজিপি প্রধানমন্ত্রীর সফরের ছাড়পত্র দেন।
কোথায় গাফিলতি?
ভাতিন্ডার সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ ফিরোজপুর সীমান্ত অবধি নিজে উপস্থিত ছিলেন কনভয়ে৷ সূত্রের খবর, পঞ্জাব পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছিল। কৃষক বিক্ষোভ হলে কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ঘুরিয়ে নেওয়া হবে, তাও আলোচনা করে তারা৷ ফিরোজপুর সীমান্তে যাতে কৃষকরা পৌঁছোতে না পারেন, তা নিয়েও বৈঠকে বসেছিলেন পঞ্জাব পুলিশ আধিকারিকরা৷
কেন ঘটল এরকম ঘটনা?
কিন্তু এত বন্দোবস্তর পরেও কীভাবে অব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হল প্রধানমন্ত্রীকে? কেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ নোতায়েন করা হয়নি? তথাকথিত প্রতিবাদকারীদের কেন সরায়নি পুলিশ? আপাতত জাতীয় রাজনীতিতে কোটি টাকার প্রশ্ন এগুলোই।