নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে, সংসদে আলোচনার দাবি কংগ্রেসের
নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে, সংসদে আলোচনার দাবি কংগ্রেসের
বিজেপি সরকারের আমলে বিভিন্ন সংস্থার স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। এ অভিযোগ নতুন নয়, বহুদিন ধরেই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি এই মর্মে আক্রমণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তবে শুধুই সমালোচনা, আক্রমণ নয়। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে লোকসভায় আলোচনার দাবি জানাল বিরোধীরা।
কিন্তু ঠিক কোন কারণে এই আলোচনা চাইছে বিরোধীরা? একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের প্রধান সুশীল চন্দ্র এবং আরও দুই আধিকারিক রাজীব কুমার এবং অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনায় বসেছিলেন৷ ১৬ই নভেম্বরের সেই আলোচনাতেই চক্রান্তের গন্ধ দেখছে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি বলেন, 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা হরণ হয়েছে মনে করে মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছি। এই কারণেই মনে করছি, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
যদিও এরপরই লোকসভায় বচসা শুরু হয়। সকাল ১১.৩৫ থেকে দুপুর ২ টো অবধি তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে সাংসদরা ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান। লখিমপুর খেরির কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্র-র বাবা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে সভাকক্ষ। হাউসে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করার প্রস্তাব আনা হলেও তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। অধ্যক্ষের ক্রমাগত অনুরোধ সত্ত্বেও সাংসদরা ওয়েল থেকে নিজেদের আসনে ফিরে যাননি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইন মন্ত্রকের কাছ থেকে একটি চিঠি পায় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মুখ্যসচিব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি একটি বৈঠকে বসবেন। সাধারণ নির্বাচন পদ্ধতির (কমন ইলেকশন রোল) ওপর আলোচনা করা হবে বৈঠকটিতে। এই চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়, মুখ্যসচিব এবং প্রধানমন্ত্রী চান নির্বাচন কমিশন প্রধান উপস্থিত থাকুন এই বৈঠকে। এই চিঠিটি নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এক উচ্চ আধিকারিক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, এই চিঠিটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন ডেকে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন প্রধানকে, যা কিনা আদতে সংবিধান বিরুদ্ধ৷