নতুন মন্ত্রিসভা তৈরিতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, দলের অন্দরেই পদ্ম কাঁটায় বিদ্ধ ইয়েদুরাপ্পা
নতুন মন্ত্রিসভা তৈরিতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, দলের অন্দরেই পদ্ম কাঁটায় বিদ্ধ ইয়েদুরাপ্পা
দিল্লির সবুজসংকেত মিলতেই ধারে-ভারে ১৭ মাসের পুরনো মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বাড়াতে উঠে পড়ে লাগেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এমনকী তাঁর প্রস্তাবিত নামে রাজ্যপালের তরফে গ্রিন সিগন্যাল মিলতেই বুধবার রাজভবনে নতুন পদে শপথ নেন ৭ বিধায়ক। এবার তাই নিয়েই দলের অন্দরে পদ্মকাঁটায় বিদ্ধ ইয়েদুরাপ্পা।
ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অবিভোগ
সূত্রের খবর, ৭ বিধায়কের নাম সামনে আসতেই ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সরব হবে দেখা যায় একাধিক বিজেপি বিধায়ককে। তাঁদের অভিযোগ নিজের পছন্দের প্রার্থীদেকই বেছে বেছে মন্ত্রীত্ব দিচ্ছে ইয়েদুরাপ্পা। দক্ষতা-যোগ্যতা মন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও ইয়েদুরাপ্পার অঙ্গুলিলেহনেই তারা মন্ত্রীত্ব পেয়ে যাচ্ছেন।
মন্ত্রীত্ব পেলেন কোন কোন বিধায়ক
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, বেলগির বিধায়ক মুর্গেশ নীরানী, হুক্করির বিধায়ক উমেশ কাট্টি, সুল্লিয়ার ছয় বারের বিধায়ক এস অঙ্গরা, চন্নপত্নের এমএলএ সি পি যোগেশ্বরের নাম এর আগে নতুন মন্ত্রীত্বের জন্য কর্নাটকের রাজ্যপাল বজুভাই ভালাকে পাঠান ইয়েদুরাপ্পা। এছাড়াও তালিকায় ছিল মহাদেবপুরের বিধায়ক আরাবিন্দ লিম্বাবলি, এমএলসি এমটিবি নাগরাজ এবং রাণেবেনুর বিধায়ক আর শঙ্করের নাম।
প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ একাধিক বিজেপি নেতার
বর্তমানে এদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা বিধায়ক। যেমন মহীশূরের বিধায়ক এস এ রামদোসের টুইটবার্তায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, " আমি পার্টির তরফে মহীশুরের যুব সভাপতি হিসাবে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করি। দু'বার রাজ্য যুব সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছি। আজ ২৮ বছর ধরে দলের হয়ে কাজ করছি। আমার এলাকায় ১১ জন বিধায়ক ছিলেন। তাঁর মধ্যে ১০ জনই অন্য দলে গিয়েছেন। দল আমার মায়ের সমান। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গোটা মহীশূরবাসি প্রতি অবিচার করা হল।"
বেকায়দায় ইয়েদুরাপ্পা
অন্যদিকে খানিক একই সুর শোনা গিয়েছে কর্নাটকের আর এক প্রখ্যাত বিজেপি নেতা বিশ্বনাথের গলায়। তিনি আবার সরাসরি সদ্য মন্ত্রীত্ব পাওয়া চন্নপত্নের বিধায়ক সি পি যোগেশ্বরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও দাগিয়ে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে বয়সজনিত সমস্যা ও আরও একাধিক কারণে ইয়েদুরাপ্পাকে অপসারণ নিয়ে গত এক বছরে অনেক গুজব উঠে এসেছে। যদিও সদ্য দিল্লি গিয়ে ফের পুরনো চালে সব কিছু 'সেটিং' করে আসতে দেখা যায় ইয়েদুরাপ্পাকে। এমতবস্থায় মন্ত্রীত্ব নিয়ে দলের অন্দরেই স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠায় রীতোমতো বেকায়দায় কর্নাটকের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
শক্তিশালী ভারতই পারে চিনা আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে! দাবি গোপনীয় মার্কিন নথিতে