অডিও টেপে 'যৌন কেচ্ছা' ফাঁস, নাম জড়াল তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের, দমকা হাওয়ায় শোরগোল দক্ষিণী রাজনীতিতে
একটি অডিও টেপ। যেখানে রাজ্যপাল বনোয়ারীলাল পুরোহিতের নাম নিয়ে যৌনতার কথা বলা হয়েছে। সেই ঘটনা নিয়েই ঝড় বইছে তামিলনাড়ুর রাজ্য রাজনীতিতে।
একটি অডিও টেপ। যেখানে রাজ্যপাল বনোয়ারীলাল পুরোহিতের নাম নিয়ে যৌনতার কথা বলা হয়েছে। সেই ঘটনা নিয়েই ঝড় বইছে তামিলনাড়ুর রাজ্য রাজনীতিতে। ২০ মিনিটের সেই অডিও টেপে এক মহিলা প্রফেসর ছাত্রীদের যৌনতায় মেতে ওঠারর পরামর্শ দিচ্ছেন। রাজ্যপালকে সন্তুষ্ট করতে বলছেন। তার বদলে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথাও বলছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদমর্যাদার আধিকারিকদের সন্তুষ্ট করতে হবে। পাশাপাশি নাকি শয্যা সঙ্গিনী হতে হবে রাজ্যপাল বনোয়ারীলাল পুরোহিতের। এই টেপ সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
দেবাঙ্গ আর্টস কলেজ ঘিরে হইচই
বিরুধুনগরের দেবাঙ্গ আর্টস কলেজের প্রফেসর নির্মলা দেবী এই প্রস্তাব ছাত্রীদের দেন বলে অভিযোগ। এই কলেজটি মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাজ্যপাল স্বয়ং।
তদন্তের নির্দেশ
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে রাজ্যপাল বনোয়ারীলাল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নিজেকে তদন্তের আগেই নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। অভিযুক্ত প্রফেসর নির্মলাদেবীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বিতর্কিত অডিও কথোপকথন
সেই বিতর্কিত অডিও টেপ রবিবার চেন্নাইয়ে এসে পৌঁছয়। ২০ মিনিটের অডিও টেপে রাজ্যপালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সী বনোয়ারীলালের মন মজাতে তাঁকে 'খুব একটা বুড়ো নয়' বলেও ব্যাখ্যা করেছেন অভিযুক্ত নির্মলাদেবী।
সান্তানামকে দিয়ে তদন্ত
এই ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আর সান্তানামকে দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে। তবে বিরোধীরা রাজ্যপালের নিন্দায় সরব হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল কীভাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন তা নিয়ে সকলে প্রশ্ন তুলেছেন।
নির্মলার প্ররোচনা
নির্মলাদেবী ২০ মিনিটের অডিও কথোপকথনে বিএসসি গণিতের তৃতীয় বর্ষের চার ছাত্রীকে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে প্ররোচনা করেছেন। এটা করলে ভবিষ্যতে তাঁদের ভালো হবে ও সুযোগ মিলবে বলেও জানিয়েছেন। এছাড়া টাকাপয়সা পাওয়ার কথাও জানান। এছাড়া রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের কথাও বলেম নির্মলাদেবী।
রাজ্যপালের বিবৃতি
রাজ্যপাল এই ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, আমার ৭৮ বছর বয়স। প্রপৌত্রও রয়েছে। দয়া করে এসব আমার নামে বলবেন না। ওই মহিলাকে আমি চিনিই না। দেখিওনি কোনওদিন। তাঁর আরও ব্যাখ্য়া তাঁর অনুমতি ছাড়া কাছাকাছি কেউ ঘেঁষতে পারে না। এখন দেখার অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আর সান্তানাম এই ঘটনায় কী রিপোর্ট দেন।