দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জাতীয় সঙ্গীত বাজে না এই স্কুলে!
এলাহবাদ, ৭ অগাস্ট : জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও কি ধর্মীয় ছাড়পত্রের প্রয়োজন পড়ে? এর সুস্থ এবং স্বাভাবিক উত্তর অবশ্যই, না। কেননা ভারতের জাতীয় সঙ্গীত অখণ্ডতা এবং সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথাই বলে। কিন্তু এলাহাবাদের একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার বিষয়ে এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
এলাহাবাদের সাদিয়াবাদ এলাকায় অবস্থিত এমএ কনভেন্ট স্কুল। এই স্কুলটিতে বর্তমানে ৩৩০ জন ছাত্র পাঠরত। এদের মধ্যে ১৩০ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্র রয়েছে। এবং তাদের পরিবারের দাবি 'আল্লাহ' হচ্ছেন তাদের ভাগ্য বিধাতা বা ভাগ্য নির্ধারক। তাই জাতীয় সঙ্গীতে উল্লেখিত 'ভারত ভাগ্য বিধাতা' বলতে তাদের আপত্তি রয়েছে। কেননা তাদের ধর্মীয় স্বার্থের ক্ষতি হবে তাতে।
এই স্কুলের ম্যানেজার মহম্মদ জিয়াউল হকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাই জাতীয় সঙ্গীতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। গত ১২ বছর ধরে এই স্কুলে কেউ জাতীয় সঙ্গীত গায় না। স্কুলের অধ্যক্ষ এটা জানার পরে অবশ্য ম্যানেজার মহম্মদ জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কার্যকলাপের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
এলাহাবাদের জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান ঘটনার কথা তিনি জানতে পেরেছেন। স্কুলটির কাছে কোনও বৈধ অনুমতিপত্র নেই এবং স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত বন্ধের মতো হঠকারি সিদ্ধান্তের জন্য দ্রুত কঠিনতম ব্যবস্থা নেবেন।