সিএএ হিংসা রুখতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যোগী সরকারকে প্রশ্ন এলাহাবাদ হাইকোর্টের
সিএএ হিংসা রুখতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যোগী সরকারকে প্রশ্ন এলাহাবাদ হাইকোর্টের
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই নিয়ে পাশাপাশি আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে পুলিশি কার্যকলাপ প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে প্রশ্ন করেছে হাইকোর্ট। আজ এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই বিষয়ে সাতটি আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি হয়। সেই প্রেক্ষিতেই সরকারকে প্রশ্ন করে হাইকোর্ট।
উত্তরপ্রদেশে হিংসার ঘটনা
উত্তরপ্রদেশে গত কয়েক মাসে একের পর এক জায়গায় দেখা গিয়েছে ব্যাপক হিংসার ছবি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে রীতিমতো তোলপাড় হয় যোগীরাজ্য। এমন এক পরিস্থিতিতে যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশ দেন যে, যারা হিংসায় জড়িত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই সম্পত্তি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ তোলা হবে।
২০ জনের মৃত্যু
সিএএ বিরোধী হিংসার আগুন জ্বলে কানপুর, লখনউ, মুজাফফরনগর, আলিগড়। এই জায়গিগুলি থেকে একের পর হিংসার ছবি উঠে আসে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস ও সরকারী সম্পত্তি। সরকারি মতে, উত্তরপ্রদেশে একের পর এক হিংসায় ২০ টি মটরসাইকেল, ১০ টি গাড়ি, ৩ টি বাস, ৪ টি মিডিয়া ওবি ভ্যান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশে গতমাসে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ২০ জনের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে।
গ্রেফতার কয়েক হাজার
উত্তরপ্রদেশে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকায় করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার জনকে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশের একাধিক শহরে আগুন জ্বলেছে হিংসার। আর তার জেরেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০৫ জনকে। এদিকে হিংসায় জড়িত থাকায় এফআইআর-এ নাম রয়েছে ৯৩ বছর বয়সী বৃদ্ধে থেকে ৬ বছর আগে মৃত ব্যক্তিরও।