For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৩১ অগাস্ট! যে বিষয়গুলি অবশ্যই জানা উচিত

শনিবার প্রকাশিত হতে চলেছে এনআরসির চূড়ন্ত তালিকা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে অসমে বসবাসকারী আসল ভারতীয়রাই এই তালিকায় স্থান পাবেন বলে দাবি।

  • |
Google Oneindia Bengali News

শনিবার প্রকাশিত হতে চলেছে এনআরসির চূড়ন্ত তালিকা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিয়ে অসমে বসবাসকারী আসল ভারতীয়রাই এই তালিকায় স্থান পাবেন বলে দাবি। এনআরসির জন্য আবেদন করেছিলেন ৩.২৯ কোটি বাসিন্দা। যাঁদের মধ্যে থেকে ২.৯ কোটির নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেই তালিকায়।

কেন এই তালিকা গুরুত্বপূর্ণ

কেন এই তালিকা গুরুত্বপূর্ণ

এই তালিকায় যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সবাই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গণ্য হবেন। আর যাঁরা এই তালিকায় স্থান পাবেন না, তাঁদের দীর্ঘ লড়াই লড়তে হবে। আগামী ১০ মাসের তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, তারা ভারতীয় নাগরিক। যাঁরা বিদেশি বলে বিবেচিত হবেন, তাঁদের যদি বাংলাদেশ গ্রহণ না করে, তাহলে তাঁরা দেশহীন বলে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা। চার বছর
ধরে তৈরি হওয়া এই তালিকায় অনেকের মধ্যেই যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এনআরসির ড্রাফ্ট প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮-র জুলাইয়ে। তালিকা থেকে ৪০.০৭ লক্ষ বাসিন্দার নাম বাদ পড়েছিল। এবছরের জুনে আরও ১ লক্ষের নাম বাদ পড়ে।

এনআরসির ইতিহাস

এনআরসির ইতিহাস

জনগণনার ওপর নির্ভর করে ১৯৫১ সালে এনআরসি শেষ করা হয়েছিল। তবে আপডেট করার দরকার পড়লেও, তা করা হয়নি। আর দেশ ভাগের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেশী পূর্ব পাকিস্তান, পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষের আগমন ঘটেছে। ১৯৭১-এ প্রতিবেশী দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও বহু মানুষের আগমন হয়েছে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে ১৯৭৮ সাল থেকে।
ওই বছরেই অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে আসু এনআরসি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তির মাধ্যমে সেই আন্দোলন সমাপ্ত হয়। কেন্দ্র, রাজ্য, অসম গণ পরিষদ এবং আসু সেই চুক্তিতে সই করে। চুক্তির অন্যতম বিষয় ছিল রাজ্যে বিদেশিদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের নাম বাদ দেওয়া।

তালিকা কী?

তালিকা কী?

অসমে অনুপ্রবেশের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। তবে বর্তমান এনআরসিকে শুধু ভারতেরই নয়, বিশ্বের সব থেকে বড় সিটিজেনশিপ এক্সারসাইজ বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরেই বিদেশি চিহ্নিত করতে বর্তমান পদ্ধতি শুরু করা হয়েছিল। যা নির্ধিরত হয়েছিল অসম চুক্তি অনুসারেই। ২০১৫ সালে রাজ্যের তৎকালীন কংগ্রেস
সরকার এই কাজ শুরু করেছিল। তত্ত্বাবধানের ছিল সুপ্রিম কোর্ট।

যাঁরা ১৯৭১-এক ২৪ মার্চের আগে অসমে প্রবেশ করেছেন তাঁদেরকেই নাগরিক হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

তালিকায় থাকার মানদণ্ড

তালিকায় থাকার মানদণ্ড

১) যাঁদের নাম ১৯৫১-এর তালিকায় ছিল কিংবা যাঁরা ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের আগে তালিকায় ছিলেন তাঁরা এবং তাঁদের বংশধররা।
২) জন্মের সার্টিফিকেট, শরণার্থী রেডিস্ট্রেশন সার্টিফিটেক, জমি কিংবা ভাড়ার রেকর্ড, সরকারের দেওয়া ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগের এমপ্লয়মেন্ট কিংবা এডুকেশন সার্টিফিকেট।
৩) যাঁরা অসমে এসেছেন, দেশের যে কোনও জায়গার ১৯৭১ সালের আগেকার প্রমাণ তাঁদের দেখা হয়েছে।
৪) যাঁরা ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন, কাটঅফ তারিখের আগে তাঁদের বাবা-মায়ের জন্মের প্রমাণপত্র দেখা বলা হয়েছে।
৫) যাঁরা ২০০৪-এর ৩ ডিসেম্বরের পর জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যদি তাঁর বাবা-মা ডাউটফুল ভোটার হয়ে থাকেন।

৩১ অগাস্টের পর কী হবে

৩১ অগাস্টের পর কী হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে সম্প্রতি বলা হয়েছে, যদি কারও নাম তালিকায় না থাকে, তাহলে তাঁরা বিদেশি বলে বিবেচিত হবেন। আবেদনের জন্য তাঁরা ১২০ দিন সময় পাবেন।
ফরেনার্স ট্রাইবুনালে তাঁদের আবেদন করতে হবে। এই ট্রাইবুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা যাবে গুয়াহাটি হাইকোর্টে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও তা চ্যালেঞ্জ করা যাবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তালিকায় না থাকাদের বের করে দেওয়া হবে না। তবে এটা পরিষ্কার নয়, যাঁদের বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হবে, তাঁদের কী হবে।

English summary
All you need to know about NRC
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X