এবছর মৌসুমী বায়ু কবে বিদায় নেবে! বৃষ্টির ঘাটতিই বা কত, যা বলছে আবহাওয়া দফতর
ভারত থেকে মৌসুমী বায়ু সাধারণত বিদায় নিতে শুরু করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। একেবারে পশ্চিম রাজস্থানের অংশ থেকে। কিন্তু আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আবহবিদদের অনুমান, এবছরে তা আরও দেরি হবে।
ভারত থেকে মৌসুমী বায়ু সাধারণত বিদায় নিতে শুরু করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। একেবারে পশ্চিম রাজস্থানের অংশ থেকে। কিন্তু আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আবহবিদদের অনুমান, এবছরে তা আরও দেরি হবে।
এর আগেও মৌসুমী বায়ু বিদায় নিতে দেরি হয়েছে। তখন দেখা গিয়েছিল, অক্টোবরের প্রথমের দিকেও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার ওড়িশা উপকূলের নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়লেও, পূর্ব ভারতের সংলগ্ন মধ্য ভারত এবং উত্তর পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় মঙ্গলবার ভাল বৃষ্টি হয়।
ভারতীয় উপদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশ এবং পশ্চিম উপকূলের বেশিরভাগ অংশ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে পূর্ব দিকের বঙ্গোপসাগর আর পশ্চিম দিকের আরবসাগর থেকে বৃষ্টির মেঘ ঢুকেছে।
মৌসুমী বায়ুর এই দুই অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা এবং উত্তরাখণ্ডে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে।
আবহ দফতের অনুমান পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতে বৃষ্টি বজায় রাখতে আগামী দিন তিনেকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উত্তরভাগে ফের নিম্নচাপ তৈরি হতে যাচ্ছে।
মৌসুমী বায়ুর ঘাটতি
তবে
সারা
দেশে
মৌসুমী
বায়ুর
ঘাটতি
বর্তমান
সময়ে
ছয়
শতাংশে
নেমে
এসেছে।
যদিও
রায়ালসীমায়
ও
লাক্ষাদ্বীপে
ঘাটতির
পরিমাণ
যথাক্রমে
৪৪
শতাংশ
ও
৪৩
শতাংশ
।
দেশের
অন্য
অংশেও
বৃষ্টির
ঘাটতি
রয়েছে।
যেমন
ঝাড়খণ্ড,
হরিয়ানা,
চণ্ডীগড়,
দিল্লিতে
২৫
শতাংশ,
বিহারে
২০
শতাংশ।
কর্নাটকের
উত্তর
অংশে
২০
শতাংশ,
সৌরাষ্ট্র
ও
কচ্ছ্বতে
২২
শতাংশ
করে
ঘাটতি
রয়েছে।
লাক্ষাদ্বীপ, উত্তর-পূর্ব ভারত পুরো বর্ষাকালেই ঘাটতির প্রবণতা দেখা গিয়েছে। পশ্চিবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন এলাকা এবং সিকিমে ঘাটতির পরিমাণ ২০ শতাংশ। অন্যদিকে, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় ঘাটতির পরিমাণ ২১ শতাংশ।
আবহ দফতরের অনুমান, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে সামনের দিনগুলিতে এই ঘাটতি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। কেননা বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে।