এবার থমকে যাবে গোটা দেশ! কৃষকদের সমর্থনে বনধের ডাক পণ্য পরিবাহণকারী সংগঠনের
কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এবার পরিবাহণ ক্ষেত্রে দেশ জুড়ে বনধের ডাক দিল অল ইন্ডিয়া মোটোর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস। জানা গিয়েছে কৃষকদের সমর্থনে ৮ ডিসেম্বর দেশ জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। এই সংগঠনের অধীনে ১০ কোটি ট্রাক চালক নথিভুক্ত রয়েছে। এই ক্ষেত্রে পুরো দেশে পণ্য পরিবহণ থমকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল।
সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি
সংগঠনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে যদি কৃষকদের দাবি না মেনে নেওয়া হয় তাহলে ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে লাগাতার বনধ থাকবে ট্রাক চালকদের পরিষেবা। বিশেষত দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব সব উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পণ্য পরিবাহণ থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এই ট্রাক চালকদের সংগঠন। উল্লেখ্য, সড়ক পথে সামগ্রী পরিবহণ মোট পণ্য পরিবহণের ৬০ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে পরিসংখ্যান ঘেটে।
অবরুদ্ধ দিল্লি
এর আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষক আন্দোলনের ষষ্ঠদিনে বন্ধ করা হয়েছিল রাজধানীর আরও তিনটি সীমানা। সতর্কতা মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সঙ্গে সংযুক্ত গুরগাঁও এবং ঝাঝর-বাহাদুরগড় বর্ডার। যার জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দিল্লি বর্ডারে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন
পাশাপাশি দিল্লিতে ঢোকার প্রতিটি বর্ডারে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বহু স্তরীয় ব্যারিকেড রয়েছে। এরই সঙ্গে সিঙ্ঘু এবং টিরকি বর্ডারসহ দিল্লির মোট পাঁচটি বর্ডার পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গতকালই কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তবে কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবি কেন্দ্রের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়৷
কেন্দ্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন কৃষকরা
এদিকে আলোচনায় কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। উল্টে তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি মানা না হলে এভাবেই চলবে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র বের না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ সেইমতো দিল্লিতে প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
নিজের বাড়িতে অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর, ছন্দপতনের মাঝেই ফের ভাঙনের রেখা তৃণমূলে