করোনা সংক্রমণ রুখতে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! কবে থেকে জারি নিষেধাজ্ঞা
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে সব ধরনের বিমান পরিষেবা। আর এর জেরে পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করা হবে সারা দেশে। এর অর্থাৎ ভিনরাজ্যে থাকা বাঙালিদের কাছে রাজ্যে ফেরার শেষ সুযোগ মঙ্গলবার মধ্যরাত্রি পর্যন্ত।
রেলের পর এবার কোপ পড়ল অভ্যন্তরীণ উড়ানের উপরও
দেশের লকডাউন আরও কার্যকর করতে রেলের পর এবার কোপ পড়ল অভ্যন্তরীণ উড়ানের উপরও। এর আগে ১৯ মার্চ বিদেশমন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ভারতে আন্তর্জাতিক বিমানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে উড়ানের সংখ্যা কমলেও জারি ছিল দেশের ডমেস্টিক ফ্লাইট।
গত কয়েকদিনে করোনা পরিস্থিতি বাজে হয়েছে দেশে
উড়ানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপের দেশগুলির ক্ষেত্রে লাগু করা হয় ১৮ মার্চ থেকেই। এত কিছু করেও গত তিন-চার দিনে ক্রমেই লাফিয়ে লাফিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের ডমেস্টিক ফ্লাইট বন্ধ করার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরী। এরপরই বিকেল নাগাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সমস্ত বাণিজ্যিক সংস্থাকে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর আর উড়ানের অনুমতি দেওয়া হবে না।
দেশে করোনা আক্রান্ত ৪১৫
দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ নামক এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কমপক্ষে ৪১৫ জন। দুই বিদেশী সহ প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দেশ জুড়ে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই সহ মোট ৮২টি শহরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এর আগে পুরো বন্ধ করা হয়েছিল রেল পরিষেবা
এর আগে রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই লক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশ জুড়ে সমস্ত যাত্রিবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও। তবে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করা হলেও রেলের পণ্য পরিষেবা জারি রাখা স্বাভাবিক ভাবে।
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে সোমবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সাত জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। প্রত্যেককে কোয়ারান্টাইন রাখা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা রুখতে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতেই পশ্চিমবঙ্গে এখন যেন কোনও বিমান না আসে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।