Bajrang Dal Activist Murder Case: গ্রেফতার ছয়! দোষীরাও চিহ্নিত বলে জানাল পুলিশ
হিজাব বিতর্ক মিটতে না মিটতেই ফের উত্তাল কর্নাটকের শিবামোগা। হর্ষ হত্যা নিয়ে উত্তাল সে রাজ্য। পেশায় দর্জি ওই যুবক বজরং দলের কর্মীও। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে খুন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তা
হিজাব বিতর্ক মিটতে না মিটতেই ফের উত্তাল কর্নাটকের শিবামোগা। হর্ষ হত্যা নিয়ে উত্তাল সে রাজ্য। পেশায় দর্জি ওই যুবক বজরং দলের কর্মীও। তাঁকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে খুন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল শিবামোগা। যদিও ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে এই প্রসঙ্গে কর্নাটক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় আরও ১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা হয়েছে। বজরং দলের কর্মী হর্ষের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলে মনে করছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর সেই কারণে আটক ১২ জনকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে খবর।
তবে কর্নাটক পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের সি প্রতাপ রেড্ডি সাংবাদিকদের জানান, ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও খুব শিঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি পুলিশ আধিকারিকের। একই সঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকারও বার্তা দিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের সি প্রতাপ রেড্ডি'র।
অন্যদিকে ঘটনার পর যেভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে সে ঘটনারও তদন্ত হবে বলে জানান তিনি। রেড্ডির দাবি, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরও কয়েকটি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বজরং দলের ২৩ বছরের কর্মীকে রবিবার রাতে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে খুন করা হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে কর্ণাটকের শিবামোগা জেলা। গোটা এলাকা রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তাল হতেই রাতারাতি সে রাজ্যের একাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু এরপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ওশান্তির খবর সামনে আসে। যদিও ঘটনার পরেই গোটা শহর জুড়ে ব্যাপক ভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ এস বোমাই জানান, পুলিশ হত্যার ঘটনায় কিছু তথ্য খুঁজে পেয়েছে। আর সে বিষয়ে তাঁরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। খুব শিঘ্রই আসল তথ্য সামনে আসবে বলেও জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে উন্নয়ন মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা বলেন, হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তিনি ডি কে শিবকুমারকে অর্থাৎ কর্ণাটকের কংগ্রেসের প্রধানকে দায়ী করছেন। যদিও তদন্তকারীদের একটা অংশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে এই ঘটনার সঙ্গে হিজাবের ঘটনার কোনও ছায়া নেই। এটি সম্পূর্ণ আলাদা একটা বিষয় বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তা এখনও রয়েছে। তবে কড়া হাতে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।