জেলবন্দি আলকায়েদা সদস্য করোনাকালে ফের চিকিৎসকের ভূমিকায় আসতে ইচ্ছুক, আইনি পথে আর্জি
শাবিল আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বিভিন্ন নাশকতার ফন্দির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে। বহুকালই দিল্লির তিহার জেলে বন্দি সে। কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়েদার অন্যতম সদস্য হিসাবে তার বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের হদিশ রয়েছে পুলিশের কাছে। তবে করোনার দ্বিতীয় স্রোতে যখন চারিদিকে শুধুই মৃত্যু মিছিল, হাহাকার, কান্না, ত্রাহি ত্রাহি রব, তখন এই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত যুবকই ফের মানবতার রাস্তায় হাঁটার ইচ্ছা প্রকাশ করল।
আদালতের কাছে কোন আর্জি
কার্যত লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে ভারতের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই মৃত্যু মিছিলের পরিসংখ্যান ভয় দেখাচ্ছে। এদিকে, দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতিও শোচনীয়। এই অবস্থায় তিহার জেলের অন্দরেও করোনার মারণ প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সেই তিহার জেলেরই অন্যতম বন্দি শাবিল আহমেদ। যার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী শিবির আলকায়দা যোগ থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেই শাবিল এবার নয়া আর্জি নিয়ে আদালতের মুখাপেক্ষী।
শাবিল কী জানিয়েছে?
জেলবন্দি হওয়ার আগে ৭ বছর চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিল শাবিল। ভারতের আলকায়দার সঙ্গে যুক্ত হয়েও চিকিৎসার বহু কাজ সামলেছে সে। এদিকে, করোনাকালে যখন তিহার জেলের বহু বন্দি চিকিৎসার জন্য হাহাকার করছে, তখন শাবিল তাদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে চেয়েছে। এই মর্মে সে দিল্লি আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। দিল্লি আদালতকে শাবিলের আইনজীবী জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত শাবিল একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। ফলে চিকিৎসার কাজ করায় তার সমস্যা হবে না।
আপাতত এই আবেদন কোন পর্যায়ে?
জানা গিয়েছে, আবেদনের প্রেক্ষিতে আপাতত আদালতের রায় জানানো হবে তিহার জেলের প্রশাসনকে। তারপর সেই নির্দেশ অনুযায়ী চলবে প্রক্রিয়া। প্রসঙ্গত,এই শাবিল ২০২০ সালে সৌদি আরব থেকে ধরা পড়ে। এনআইয়ের জালে আটকে পড়া এই শাবিলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয় বেঙ্গালুরুতে।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি
দিল্লিতে আপাতত নামতে শুরু করেছে করোনার অ্যাক্টিভ কেস। কমেছে অক্সিজেনের চাহিদা। ৭০০ এমটি অক্সিজেন থেকে আপাতত চাহিদা নেমে ৫৮২ এমটিতে দাঁড়িয়েছে অক্সিজেনের চাহিদা।