বিজেপি বিরোধী প্রবল হাওয়া লেগেছে জোটের পালে, ‘পিসি-ভাইপো’র নয়া চ্যালেঞ্জ মোদীকে
একটা জয়েই বদলে গেছে আমূল পরিস্থিতি। উত্তরপ্রদেশের মতো শক্ত গড়ে এখন বইতে শুরু করেছে প্রবল গেরুয়া বিরোধী হাওয়া।
একটা জয়েই বদলে গেছে আমূল পরিস্থিতি। উত্তরপ্রদেশের মতো শক্ত গড়ে এখন বইতে শুরু করেছে প্রবল গেরুয়া বিরোধী হাওয়া। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছিল দুই শক্তিধর আঞ্চলিক পার্টি। সেই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি নতুন জোট সমীকরণ পাকাপোক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল এবার।
[আরও পড়ুন:বিরোধী জোটে 'বিপাকে' বিজেপি! শেষ পর্যন্ত হাঁটল সংসদ মুলতুবির রাস্তায়]
উত্তরপ্রদেশে পিসি-ভাইপোর জুটি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া আসনে বিরাট জয় হাসিল করেছে সম্প্রতি। তারপরই দুই পার্টির সুপ্রিমো মিলিত হয়েছিলেন তাঁদের এক সাথে চলার পথ প্রশস্ত করতে। বুধবার তাঁদের মধ্যে ৪০ মিনিট কথা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কথা হয়- গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে দুই দলের নির্বাচনী সমাঝোতায় সাফল্য এসেছে। এবার সেই ধারা বজায় রাখতে তৎপর হতে হবে। অখিলেশ-মায়াবতী উভয়েই তাঁদের একতা দীর্ঘমেয়াদি করতে আগ্রহী।
গোরক্ষপুর ও ফুলপুরকে সামনে রেখে ২০১৯-এর নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়া অসম্ভব নয়- বৃহস্পতিবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মায়াবতী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে আসন বন্টনের মাধ্যমে আমরা দুই দল একসঙ্গে চলতে পারি। কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। কেননা উপনির্বাচনের ফলাফল বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিচায়ক। এই ফলে বিজেপির ঘুম ছুটে গিয়েছে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে যে তাঁদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভালো রেজাল্ট করার, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল।
উত্তর প্রদেশে ৮০টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে হারের পরও ৭১টি আসন রয়েছে বিজেপির দখলে। এই অবস্থায় আমরা ফিরে আসার লড়াই চালাচ্ছি। তাই বিজেপির মতো বড় শক্তিকে হারাতে যে তাঁদের এক হওয়া জরুরি তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী ও অখিলেশ উভয়েই। এ কথা ঠিক যে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি একে অপররে প্রতিপক্ষ ছিল। কিন্তু কোনও বৃহৎ শক্তি হানা দিলে তাঁকে হটাতে দুই প্রতিপক্ষকেও হাত মেলাতে হয়।
গোরক্ষপুর ও ফুলপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পর আরও এক উপনির্বাচন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কইরানা কেন্দ্রে উপনির্বাচন তাই বিজেপি ও সপা-বসপা জোট উভয়ের কাছেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই আসননি ফাঁকা হয়েছে বিজেপি সাংসদ হুকুম সিংয়ের মৃত্যুতে। এই নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বিএসপি-র। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে বিএসপি এই নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
এই নিয়ে অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর কথা চলছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই জোট কথোপকোথন চলছে দুই নেতা-নেত্রীর। তাঁরা সম্মত হয়েছেন উপনির্বাচনগুলিতে এক জোট হয়ে লড়ার। সেই আঙ্গিকে গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে প্রার্থী দিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। এবার কইরানাতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী দেওয়ার পালা।
বৃহস্পতিবার অখিলেশ জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ আসনে একতার জয় হাসিল হয়েছে। বিএসপি এবার জোট গড়ে লড়তে সম্ম্ত হওয়ায় ভোট ভাগাভাগী হয়নি। সেই সুবিধাই আমাদের জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই জয় ভবিষ্যতের রূপরেখাও প্রস্তুত করে দিয়েছে। এবার আমাদের সেই রূপরেখা ধরে এগিয়ে যাওয়ার ডাক এসেছে।
[আরও পড়ুন:আরও একটা জয়ে বিজেপিকে টেক্কা তৃণমূলের! সুপ্রিম কাঁটায় বিদ্ধ গুরুং গ্রেফতারির মুখে]