গণপিটুনি-র শিক্ষা দেওয়া হবে সৈনিক স্কুলে! আরএসএসকে দেশপ্রেমহীন তকমা অখিলেশের
আরএসএসের সৈনিক স্কুলে শুধু গণপিটুনি শেখানো হয়। বুধবার সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বলেন।
আরএসএসের সৈনিক স্কুলে শুধু গণপিটুনি শেখানো হয়। বুধবার সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বলেন। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে একটি সৈনিক স্কুল গড়ে তুলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সেখান থেকে শুধু বন্দুকের শব্দ বেরিয়ে আসবে। আসলে ওই স্কুলগুলিতে শুধু 'মব লিঞ্চিং'-ই শেখানো হবে।
আরএসএস বুলন্দশহরে একটি সৈনিক বিদ্যালয়ের কাজের তদারকি করছে। ২০২০ সালের শুরু থেকে এই স্কুল চালু হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই স্কুল চলবে। এখানে সশস্ত্র বাহিনী হয়ে ওঠার শিক্ষাও দেওয়া হবে। অখিলেশ বলেন, আরএসএসের এই পদক্ষেপ খুবই সন্দেহজনক। কারণ দেশে বেশ কয়েকটি সৈনিক স্কুল রয়েছে। তারপর আরএসএস এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী!
তিনি বলেন, দেশে পাঁচটি সামরিক বিদ্যালয় রয়েছে। দুটি রাজস্থানে, দুটি কর্ণাটকে এবং একটি হিমাচল প্রদেশে। এগুলি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের লখনউতে সৈনিক স্কুল রয়েছে, যা সমাজবাদী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিল। এদিন তিনি আরএসএসকে দেশপ্রেমহীন একটি সংগঠন বলে ব্যাখ্যা করেন।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, সরকার পরিচালিত স্কুলগুলি বাদ দিয়ে সামরিক ও সৈনিক বিদ্যালয় তৈরি করা অবশ্যই সন্দেহজনক। এটি তৈরি হচ্ছে স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এই সৈনিক স্কুলগুলিতে মব লিঞ্চিংয়ের শিক্ষা দেওয়া হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষতি কীভাবে করা যায় তা শেখানো হবে। ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়াই এই সংগঠেনর উদ্দেশ্য।