সরকার ব্যর্থ হলে বিরোধীদের ইডির পরীক্ষায় পাশ করতে হয়, টুইটারে বিস্ফোরক অখিলেশ যাদব
সরকার ব্যর্থ হলে বিরোধীদের ইডির পরীক্ষায় পাশ করতে হয়, টুইটারে বিস্ফোরক অখিলেশ যাদব
বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে 'গণতন্ত্রের পরীক্ষা' বলে উল্লেখ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, রাজনীতিতে সরকার ব্যর্থ হলে বিরোধীদের এই পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছেন, 'যাঁদের প্রস্তুতি ভালো থাকে, তাঁরা এই পরীক্ষায় ভয় পান না।' রাহুল গান্ধীকে ইডির তলব প্রসঙ্গে যে সমাজবাদী পার্টির প্রধানের এই টুইট, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বুধবার টুইটারে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ টুইটারে লেখেন, 'এখন ইডির অর্থ গণতন্ত্রের পরীক্ষা। রাজনীতিতে বিরোধীদের এই পরীক্ষা দিতে হয়। যখন সরকার ব্যর্থ হয়, সেই সময় এই পরীক্ষার ঘোষণা করা হয়। প্রস্তুতি ভালো হল লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় ভয় পান না পরীক্ষার্থীরা। এই পরীক্ষা নিয়ে কারও ভয় পাওয়াও উচিত নয়।' সম্পূর্ণ টুইটকি অখিলেশ যাদব হিন্দিতে লেখেন।
এর আগেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ করেছিলেন। কিছু দিন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতেন্দ্র জৈনকে ইডি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করে। চলতি বছরের শুরুর দিকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি সেই সময় আশঙ্কা করেছিলেন, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থার সাহায্যে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তৃতীয় দিন ইডির জেরার মুখে পড়তে হয় রাহুল গান্ধীকে। মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষের পরেই ইডি জানিয়েছিল, বুধবারও তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। বুধবার সকাল থেকেই কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে কর্মী সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কিতে দফতরের সামনে ব্যারিকেট ভেঙে যায়। পরে পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে পুলিশ। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে রাহুল গান্ধীকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। যার জেরে কংগ্রেসের সদর দফতর কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার কংগ্রেসের সদর দফতরে ভুপেশ বাঘেল ছাড়া আর কেউ প্রবেশ অধিকার পাবে না।
কে হবেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, মমতার ডাকা ১৭ দলের বৈঠকে সম্মিলিত আওয়াজ
প্রসঙ্গত, ২৩ জুন ইডির দফতরে সোনিয়া গান্ধীকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে তাঁকে ইডি ৮ জুন ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা করোনা আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে কংগ্রেস নেত্রী ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি। ইডির কাছে সোনিয়া গান্ধী নতুন তারিখ চান। ইডি হাজিরার পরবর্তী দিন ২৩ জুন ধার্য করা হয়।