প্যাটেল, গান্ধী-র সঙ্গে এক আসনে জিন্নাকে বসিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন অখিলেশ
প্যাটেল, গান্ধী-র সঙ্গে এক আসনে জিন্নাকে বসিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন অখিলেশ
যে মানুষটির কারনে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। যার উদ্যোগেই ১৯৪৭-এ ভারতভাগ করে গঠিত হয়েছে পাকিস্তান। সেই মহম্মদ আলি জিন্নাহ তথা পাকিস্তানের জনকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী এবং দেশের লৌহমানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে একই আসনে বসালেন জিন্নাকে।
সামনেই উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন
আর কিছু মাসের অপেক্ষা। আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটের লড়াইকে সামনে রেখেই প্রচারে নেমেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। সমাজবাদী পার্টিও ব্যতিক্রম নয়। এবার তেমনই একটি জনসভায় অখিলেশকে বলতে শোনা গেল, ' মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহেরু এবং মহম্মদ আলি জিন্না একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। তাঁরা ব্যারিস্টার হয়েছেন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন।' আরএসএস প্রসঙ্গে অখিলেশ বলেন, লৌহ মানব সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলই প্রথম একটি আদর্শে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন।
বিজেপি-কংগ্রেসকে একহাত অখিলেশের
তবে এদিনের জনসভায় শুধু বিজেপি নয়, দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকেও একহাত নেন অখিলেশ৷ তাঁর মতে, কংগ্রেস, বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ৷ তিনি বলেন, 'আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই সহ একাধিক সংস্থার তদন্ত চলছে শুধুমাত্র কংগ্রেসের জন্য। কংগ্রেস এবং বিজেপিতে কোনও তফাত নেই।'
তৃণমূলে ফিরতে রাজীবকে কেন ত্রিপুরা ছুটতে হল, উঠে আসছে যে সব চাঞ্চল্যকর কারণ
অখিলেশের বিতর্কিত মন্তব্য!
যথারীতি অখিলেশের এসব মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষত মহম্মদ আলি জিন্নাকে মহাত্মা গান্ধী, বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে একাসনে বসানোকে সমর্থন করেনি বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মহসিন রাজা বলেন, ' বিভেদকামী জিন্নাহর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধী, বল্লভভাই প্যাটেলের মতো ব্যক্তিত্বদের তুলনা করে অখিলেশ দেশের এই মনীষীদের অপমান করেছেন। দেশের মানুষের বোঝা উচিত কারা জিন্নার আত্মীয়দের ভোট চাইছেন। কারা জিন্নাহের মতো আজাদি চাইছেন।'
নিন্দা বিজেপির
একই সুর শোনা যায় বিজেপি মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠির গলাতেও। তিনি বলেন, ' অখিলেশের এই মন্তব্যের পরও চুপচাপ থেকেছেন তাঁর বাবা মুলায়ম সিং যাদব। অর্থাৎ তিনি সম্মতি জানিয়েছেন এই বক্তব্যে। গোটাদেশ জিন্নাকে ভারতভাগের খলনায়ক মনে করে৷ তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে মুসলিম ভোট পেতে চাইছেন অখিলেশ।'
সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট অখিলেশের
প্রসঙ্গত, এবারে উত্তরপ্রদেশের কোনও বড় দলের সঙ্গে জোট না করে স্থানীয় অঞ্চলভিত্তিক সংগঠনগুলির সঙ্গে জোটের রাস্তায় হেঁটেছে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি৷ আর যোগীকে সরাতে রাজ্যের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে যে কাছে টানতে হবে তা ভালো মতোই বোঝেন অখিলেশ। আর ঠিক সে জায়গা থেকেই এরকম মন্তব্য করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।