কৃষক আন্দোলনে জেরবার মোদী সরকার! বিজেপির 'হারে' উল্লসিত এক সময়ের পরম বন্ধু
কৃষি আইন এখনই লাগু করা যাবে না, গতকালই জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। নয়া কেন্দ্রীয় আইন কার্যকরের উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে বিজেপি-কে খোঁচা দিলেন অকালি দল প্রধান সুখবীর সিংহ বাদল। একটি টুইট করে অকালি নেতা লেখেন, শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রে বিজপি সরকারের নৈতিক হার হয়েছে।
গঠিত কমিটি গ্রহণযোগ্য নয়
তবে এদিন অকালি নেতা আরও লেখেন, 'কৃষক-বিরোধী সমর্থকদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা হাস্যকর এবং গ্রহণযোগ্য নয়।' জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটিতে থাকছেন অশোক গুলাতি (কৃষি বিজ্ঞানী), প্রমোদ যোশি (আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি রিসার্চ ইনস্টিটিউট), ভুপিন্দর সিং মান, অনিল ধানওয়াত। তবে এদেরকে নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
গতকালই কেন্দ্রের মোদী সরকারের তৈরি করা তিনটি কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ মঙ্গলবার ওই স্থগিতাদেশ দিয়ে আদালত একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছে৷ যে কমিটি ওই আইন খতিয়ে দেখবে৷ শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কৃষক নেতারা৷ তবে তাঁদের সাফ কথা, এখনই তাঁরা আন্দোলন তুলবেন না৷ এই আন্দোলন ততদিন ধরে চলবে, যতদিন না নতুন তিনটি কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷
কতদিন চলবে বিক্ষোভ?
কৃষকরা এখনই আন্দোলন তুলবেন না৷ কৃষকদের বক্তব্য, এই আন্দোলন ততদিন ধরে চলবে, যতদিন না নতুন তিনটি কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷ এই আন্দোলন ততদিন ধরে চলবে, যতদিন না নতুন তিনটি কৃষি আইনকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে৷ ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত জানান যে তাঁদের প্রতিবাদ চলবে৷ তাঁরা এই তিন আইন প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছেন৷ আর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন তৈরি করা হোক, এই দাবিও রয়েছে তাঁদের৷
ট্রাক্টর ব়্যালি বাতিল করার কোনও পরিকল্পনা নেই
তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন৷ পাশাপাশি আগামী ১৫ জানুয়ারি সরকার নির্ধারিত বৈঠকেও অংশগ্রহণ করবেন৷ তবে আগামী ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর ব়্যালি বাতিল করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও তিনি এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ এই ব়্যালি বাতিল করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিল দিল্লি৷ সেই প্রেক্ষিতে এদিন একটি নোটিসও জারি করেছে দেশের শীর্ষ আদালত৷