ভারত-রাশিয়া চুক্তিবদ্ধ! তৈরি হবে AK-203 অ্যাসল্ট রাইফেল
ভারত-রাশিয়া চুক্তিবদ্ধ
ভারত ও রাশিয়া দু’দেশের উদ্যোগে তৈরি হবে AK-203 অ্য়াসল্ট রাইফেল। যার সংখ্যা ছয় লাখেরও বেশী। এই অস্ত্র তৈরি করা হবে উত্তরপ্রদেশের আমেথিতে। সোমবার ৫,১০০ কোটি টাকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দু’দেশ। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গে সইগুর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এই চুক্তি হয়েছে। ২০২১-২০৩১ সাল পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য একে অপরকে সহায়তার ব্যাপারে কথাবার্তাও বলেছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইট করেন
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইট করে বলেন, ভারতের প্রতি রাশিয়ার এই সমর্থন অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও প্রশংসনীয়। পরস্পরের প্রতি এই সহযোগিতা সমগ্র রিজিয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনবে। যে চুক্তিগুলি সমগ্র অঞ্চলে কালাশনিকভ সিরিজের ছোট অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার চুক্তি সংশোধনের প্রোটোকলের জন্য আরেকটি চুক্তিতে সাক্ষর করা হয়েছে।
কাদের ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি করা হয়েছে
স্মল আর্মস ও মিলিটার কো অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে উদ্বোধনী ২+২ আন্তঃমন্ত্রণালয় সংলাপে প্রতিরক্ষা বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ব্যস্ততা অভূতপূর্বভাবে এগিয়েছে। আমরা আশা করি রাশিয়া এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য একটি প্রধান অংশীদার থাকবে।
উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে AK-203
ভারত ও রাশিয়ার দু'দেশের সাহায্যে উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে একে-২০৩ রাইফেল। এই রাইফেল তৈরি হবে ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। আগের সপ্তাহেই ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি এই প্রজেক্টটি অনুমোদন করেছে বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ২+২ আন্তঃমন্ত্রণালয় সংলাপে বহু মেরুতা এবং পুনঃভারসাম্যের উত্থানকে মোকাবিলা করবে এবং সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা ও মৌলবাদ এই অঞ্চলের মুখ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি চলছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোমবার স্পষ্ট জানান, ভারত এবার উত্তর সীমান্ত নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। সামরিক সাহায্যের জন্য ভারত একটা দ্বিতীয় হাত খুঁজছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত- রাশিয়ার যৌথ কথা সূচনায় এমন ইঙ্গিত দিলেন। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত কোনও দেশের নাম বলেননি, তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, তিনি না বললেও চিনের কথাই বলতে চেয়েছেন।