এমএসসি ব্যাঙ্ক কাণ্ডে নাম জড়ালো অজিত পাওয়ারের, চিনি কারখানা থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির
এমএসসি ব্যাঙ্ক কাণ্ডে নাম জড়ালো অজিত পাওয়ারের, চিনি কারখানা থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির
মহারাষ্ট্রের সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রাজ্যের উপ–মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার পরিচালিত এক ফার্মের সম্পত্তি সহ ৬৫ কোটি টাকার ওপর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে জমি, বহুতল, প্ল্যান্ট এবং সাতারাতে অবস্থিত জরনদেশ্বর সহকারি চিনি কারখানার যন্ত্রপাতি, যার মূল্য ৬৫.৭৫ কোটি টাকা (২০১০ সালে কেনা দাম অনুযায়ী)। এই সম্পত্তি বর্তমানে গুরু কমোডিটি পরিষেবা প্রাইভেট লিমিটেডের নামে রয়েছে এবং লিজ দেওয়া হয়েছে জারনদেশ্বর চিনির কারখানাকে। ইডি তার বিবৃতিতে বলেছে, 'জারনদেশ্বর চিনি কারখানা প্রাইভেট লিমিটেডে সিংহভাগ শেয়ার রয়েছে স্পার্কলিং সয়েল প্রাইভেট লিমিটেডের। তদন্তে উঠে এসেছে স্পার্কলিং সয়েল প্রাইভেট লিমিটেড মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও সুনেত্রা অজিত পাওয়ারের সংস্থা।'
নোটিশ আসেনি অজিত পাওয়ারের কাছে
তবে অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন যে তিনি ইডির কাছ থেকে কোনও নোটিশ পাননি। এমনকী তদন্তকারী সংস্থার জারনদেশ্বর চিনির কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি সম্পর্কেও তিনি অবহিত নন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।২০১৯ সালে মুম্বই পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি শাখায় এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি অর্থ তছরূপ মামলায় তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। ইডি দাবি করেছে যে মহারাষ্ট্র রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক ২০১০ সালে জারনদেশ্বর সহকারি চিনি কারখানার নিলাম করেছিল কোনও মূল্যায়ন না করে এবং যথাযথ পদ্ধতিও অনুসরণ করা হয়নি।
ইডি তার বিবৃতিতে বলেছে, 'তৎকালীন সময়ে অজিত পাওয়ার এসএসসিবির বোর্ড অফ ডিরেক্টরের প্রভাবশালী ও অন্যতম সদস্য ছিলেন। সহকারি চিনি কারখানা কিনে নেয় গুরু কমোডিটি সার্ভিস লিমিটেড এবং তা সঙ্গে সঙ্গে তা লিজে দিয়ে দেওয়া হয় জারনদেশ্বর সুগার মিল প্রাইভেট লিমিটেডকে। যা বর্তমানে পরিচালিত করছে জারনদেশ্বর সহকারি চিনি কারখানা।'
তদন্তে উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য
ইডির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে উক্ত সহকারি চিনি কারখানা ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত তহবিলের বড় অংশ জারনদেশ্বর সুগার মিলস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রাপ্ত হয়েছিল। একই জিনিস প্রাপ্ত হয় অজিত পাওয়ার ও তাঁর স্ত্রীর সংস্থা স্পার্কলিং সয়েল প্রাইভেট লিমিটেড থেকেও।' তদন্তকারীরা তদন্তে এও দেখেছেন যে গুরু কমোডিটি সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড (ডামি সংস্থা) সহকারি চিনি কারখানা অধিগ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সুগার মিলটি প্রকৃতপক্ষে নিয়ন্ত্রণ করে জারানদেশ্বর সুগার মিল প্রাইভেট লিমিটেড।
৭০০ কোটি টাকা ঋণ
ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, 'এছাড়াও, এসএসকে ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পুনে জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের এবং অন্যদের কাছ থেকে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের জন্য জারনদেশ্বর সুগার মিলের একটি গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছে। গুরু কমোডিটি সার্ভিসের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।