ডোকলাম থেকে কেন পিছু হঠল চিন, পেছনে কি মোদীর মগজাস্ত্র
সমস্ত বিতর্কিত এলাকাই কি চিনের, ডোকলাম ইস্যুতে এমনই ছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের জবাব।
সমস্ত বিতর্কিত এলাকাই কি চিনের? ডোকলাম বিতর্কে এটাই ছিল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের জবাব। চিনা স্টেট কাউন্সিলরের কঠিন প্রশ্নেও অবিচল ছিলেন দোভাল। তাঁর ওপর চাপ তৈরি করতে চিনা স্টেট কাউন্সিলর প্রশ্ন করেছিলেন, এটা (ডোকলাম) কি আপনাদের এলাকা?
ডোকলাম নিয়ে বেশ কয়েকবার শান্তি আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে ভারত- চিনের। গত ২৭ জুলাইও এরকমই একটি বৈঠক করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ডোকলামে দাঁড়িয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামনেই এই প্রশ্ন করেছিলেন চিনা স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি। সূত্রের খবর, দোভাল সাফ জানিয়েছিলেন, এই বিতর্কিত এলাকা ভুটানের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে। ভুটানের সঙ্গে ভারতের চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তে ভুটানের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে ভারত।
দোভাল আরও জানিয়েছেন, ডোকলাম সীমান্ত নিয়ে ভুটান ও চিনের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়নি। ফলে চুক্তি লঙ্ঘন যাতে না হয় তারজন্য প্রয়োজন দুপক্ষকেই সেনা প্রত্যাহার করার। উল্লেখ্য, গত সাতই জুলাই হ্যামবুর্গে দুই রাষ্ট্রপ্রধান মোদী ও জি ঝিংপিংয়ের বৈঠকেই বিষয়টি কূটনৈতিক স্তরে রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠকেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা নিয়ে সম্মত হয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
[আরও পড়ুন: ডোকলাম ইস্যুতে এক ঢিলে তিন পাখি, 'ঠাণ্ডা মাথায়' চিনকে ব্যাকফুটে ঠেলল ভারত]
অপরদিকে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, বিতর্কিত এলাকায় মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনী অসীম ধৈর্য দেখিয়েছেন। নানাভাবে সেনা জওয়ানদের প্ররোচিত করার চেষ্টা করছিল চিন। এই পরিস্থিতিতে কোনও এক পক্ষের একটি গুলিও গোটা বিষয়টি হাতের বাইরে নিয়ে যেতে পারত। তবে এক মুহূর্তের জন্যও সেনা নিরাপত্তায় ঢিল দেয়নি এবং সময়মতই নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে।