সেনাপ্রধান রাওয়াতকে চায়ের টেবিলে সত্যের উপলব্ধি করাবেন, দাবি বদরুদ্দিনের
এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল এক সভায় বলেছেন, বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে চায়ের টেবিলে বলে আমি বুঝিয়ে দেব আমাদের দল কীভাবে বেড়েছে।
অসমে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। এমনকী সেরাজ্যের রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফ-এর শক্তিবৃদ্ধিতেও আশঙ্কার মেঘ দেখেছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে থামছে না।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযান বদলে গেল এনকাউন্টারে, সেনার হাতে নিকেশ এক জঙ্গি]
এআইইউডিএফ দলের নেতা বদরুদ্দিন আজমল এক সভায় পাল্টা সেনাপ্রধানকে কটাক্ষ করে বলেছেন, বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে চায়ের টেবিলে বলে আমি বুঝিয়ে দেব আমাদের দল কীভাবে বেড়েছে। আসল সত্যটা কী। ওনার পরিসংখ্যানও ঠিক করে দেব।
সেনাপ্রধান বলেছিলেন, বিজেপি এতবছরে যেভাবে বেড়ে উঠেছে, তার থেকেও দ্রুতলয়ে অসমে বাড়ছে এআইইউডিএফ। এই নিয়েই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি অনুপ্রবেশ যে বড় ভূমিকা পালন করছে তাও জানাতে ভোলেননি সেনাপ্রধান।
বদরুদ্দিন বলেছেন, আমাদের ১৩জন বিধায়ক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবেন। প্রধানমন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসা করা হবে। তাঁর কথায়, সেনাবাহিনীর উপরে তাদের বিশ্বাস রয়েছে। তাঁরা সীমান্ত পাহারা দেয়। আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। সেজন্যই সেনাপ্রধানের বক্তব্য আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিনের কথায়, ১৯৮৫ সালে আমাদের দল তৈরি হয়েছে। ২০০৬ সালে ১০টি আসন, ২০১১ সালে ১৮টি আসন ও ২০১৬ সালে ১৩টি আসন আমরা পেয়েছি। এদিকে বিজেপির ২০১৪ সালে ও তার পরে ৬০০ শতাংশ শক্তিবৃদ্ধি করেছে। তাহলে কারা এগিয়ে রয়েছে? এই প্রশ্ন তুলেই সেনাপ্রধানকে পরিসংখ্যান সম্পর্কে জ্ঞাত করতে চেয়েছেন বদরুদ্দিন।
ঘটনা হল, সেনাপ্রধানের মন্তব্যের পর সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতারা অনেকেই সেনাপ্রধানের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। সেনাপ্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো কথা বলছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।