দেশজুড়ে চলছে কর্মী ছাঁটাই, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি এআইটিইউসি-র
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ভারতেও একই পরিস্থিতি। এর জেরে থমকে রয়েছে অর্থনীতি। যারা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারছেন তারা করছেন, না হলে কর্মহীন ভাবে দিন কাটছে কয়েক কোটি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি যে ধসে যাবে তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। আর এই ধসের জেরে দেশে চাকরির অভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ।

কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণ কী?
ব্যবসার অস্তিত্বই লাভ করার জন্য। উৎপাদন না হলে, বিক্রি হবে না। মানে, লাভ হবে না। যার মানে, কর্মী নিয়োগ হবে না। ব্যবসাগুলো স্বল্প সময়ের জন্য অনাবশ্যক কর্মীদের ধরে রাখে, এই আশায় যে, পরিস্থিতি ফিরে আসলে যাতে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে এগোতে থাকলে তারা আর কর্মীদের ধরে রাখবে না।

কেন্দ্রকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি
তবে এই কর্মী ছাঁটাই নিয়ে এবার কেন্দ্রকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল এআইটিইউসি, সিটু, ইনটাক-সহ একাধিক ইউনিয়ন। এই মর্মে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারকে একটি চিঠি লেখে ইউনিয়নগুলি।

লকডাউনে ছাঁটাই না করার নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র
করোনা লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনও সংস্থা কর্মী বা তাঁদের বেতন ছাঁটাই না-করে, সে জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। দেশের সংস্থাগুলির কাছে এই বিশয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ আসছে।


নির্দেশিকা কার্যকর করার আবেদন
২৩ মার্চ সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্র সব সংস্থাকে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে না-হাঁটার পরামর্শ দিয়েছিল। তবে এরপরও এই অভিযোগ আসায় প্রশ্ন তুলেছে ইউনিয়নগুলি। তাদের দাবি, মাঠে নেমে ওই নির্দেশ কার্যকর করা হোক সরকারের তরফে।