দু’মাস পরে চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা, কিন্তু পর্যাপ্ত চাহিদা নিয়ে আশঙ্কায় বিমান সংস্থা গুলি
দু’মাস পরে চালু হচ্ছে বিমান পরিষেবা, কিন্তু পর্যাপ্ত চাহিদা নিয়ে আশঙ্কায় বিমান সংস্থা গুলি
প্রায় দুমাস পরিষেবা বন্ধের পর ২৫শে মে থেকে দেশে ধাপে ধাপে অসামরিক বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কিন্তু বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার ঘোষণা হলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ সরছে না বিমান সংস্থা গুলির।
লকডাউনে ধুঁকছে ছোট-বড় একাধিক বিমান সংস্থা
এদিক লকডাউনের জেরে বিশাল ক্ষতির মুখে ছোট-বড় প্রায় সমস্ত বিমান সংস্থাই। বিনা বেতনে ছুটিতেও পাঠানো হয়েছে অনেক কর্মীকেই। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী একাদিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমমের সম্ভাবনা এড়াতে ভিন দেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পারেন একটা বড় অংশ মানুষ। অনেকই এড়িয়ে চলতে পারেন বিমান পরিষেবা। এমতাবস্থায় স্পাইসজেট এবং গোএয়ারের মতো ছোট বিমান সংস্থাগুলি ইন্ডিগো এবং টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন ভিস্তারা, এয়ারএশিয়ার বতো বড় সংস্থাগুলির কাছে অসম প্রতিযোগীতার মুখে পড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
৩০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই চলবে উড়ান
এদিকে বিমান পরিহন মন্ত্রকের তরফে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে ছাড়পত্র মিললেও পর্যাপ্ত যাত্রী সংখ্যা নিয়ে আশঙ্কা করতে দেখা যাচ্ছে একাধিক সংস্থাকে। পাশাপাশি এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ও বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফেও এই ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ বিধিনিষেধ আরোপ করতে দেখা যায়। এমনকী সামাজিক দূরত্ব পালনের জন্যও থাকছে এক গুচ্ছ বিধিনিষেধ। প্রাথমিকভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখার স্বার্থে ৩০ শতাংশের বেশি যাত্রী নিয়ে বিমান চলাচল করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
থাকছে একগুচ্ছ বিধিনেষেধ
অন্যদিকে আপাতত বিমান পরিষেবা টিয়ার-১ এবং টিয়ার-২ এর মতো বড় শহর গুলিতে সীমিত থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এই বিমান সফরের সময় প্রতিটি যাত্রীর ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করার কথাও ভাবছে কেন্দ্র। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া কোনও যাত্রীকেই ট্রলি ব্যাবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানা যাচ্ছে।
আগামী তিন মাসের জন্য চাহিদা কমবে প্রায় ৮০ শতাংশ
পাশাপাশি প্রত্যেক যাত্রীর জন্য মাস্ক ও গ্লাভসের ব্যবহার বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে প্রতিটি যাত্রীর জন্য থাকছে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি সমীক্ষা মারফত জানা যাচ্ছে আগামী তিন মাসের জন্য প্রায় বিমানে ভ্রমণের চাহিদা প্রায় ৮০ শতাংশ কমে যাবে।
টিকিটের দামও বেঁধে দিতে দেখা গেছে বিমান মন্ত্রকের তরফে
এছড়াও আন্তঃরাজ্য উড়ানের ক্ষেত্রেও অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফ থেকে সাতটি ভাগে বিমানের ভাড়া বেঁধে দিতেও দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি-মুম্বই বিমানের টিকিটের দাম থাকতে পারে ৩,৫০০ থেকে ১০,০০০ টাকার আশেপাশে। একইসাথে সমস্ত বিমানের টিকিটের ৪০ শতাংশই ৬,৭৫০ টাকার নীচে বিক্রি হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এতেও এত কম যাত্রী নিয়ে নিয়ে পরিবহনের ক্ষেত্রে লভ্যাংশ আদায়ের ক্ষেত্রে সিঁদুরে মেঘ দেখছে একাধিক সংস্থা।
কলকাতা থেকে দিল্লি-বেঙ্গালুরু-পুনে যাতায়াতে বিমানের ভাড়া কত? জানুন নতুন স্ল্যাব