'দিল্লিতে আট থেকে আশি সকলেই দিনে ২০টি করে সিগারেটের ধোঁয়া হজম করছেন', কেন জানেন
দিল্লিতে বায়ু দূষণের পরিমাণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চিকিৎসকেরা বলছেন, দিনে ১৫-২০টি সিগারেট খাওয়ার শামিল হয়েছে পরিস্থিতি।
দেশের রাজধানী দিল্লিতে বায়ু দূষণের পরিমাণ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার কোনও সীমা পরিসীমা নেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, দিনে ১৫-২০টি সিগারেট খাওয়ার শামিল হয়েছে পরিস্থিতি। অর্থাৎ আট থেকে আশি সকলকেই শ্বাস-প্রশ্বাস এতটাই দূষিত বায়ুতে নিতে হচ্ছে যা দিনে ২০টি সিগারেট খাওয়ার সমান। যা দেখে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন চিকিৎসকেরাও। কোনওভাবেই এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। দীপাবলির আগে যা আরও আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি করেছে।
চিকিৎসকদের আশঙ্কা
দিল্লির এক বিখ্যাত হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, আগে ধূমপায়ী ও ধূমপান করেন না এমন মানুষের ফুসফুস সহজেই আলাদা করা যেত। ধূমপায়ীদের ফুসফুসে কালো ছোপ ও যারা ধূমপান করেন না তাদের ফুসফুস গোলাপি রঙের হতো। এখন সকলের ফুসফুসই কালো রঙের হয়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
তথৈবচ অবস্থা আমজনতার
দিল্লিতে আমজনতার ঠিক এটাই অবস্থা। ফুসফুসে মারাত্মক চাপ পড়ছে। সুস্থ মানুষও দিল্লির আবহাওয়ায় শ্বাস নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যার ফলে দিল্লির বিভিন্ন স্বেচ্ছ্বাসেবি সংস্থা যারা স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে, তাঁরা সচেতন করতে প্রচার চালাচ্ছে।
বাড়ছে রোগীর ভিড়
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে আরও সমস্যা বাড়বে। ইতিমধ্যে রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে যাদের গলা, নাকে অস্বস্তি হচ্ছে। কাশি হচ্ছে। এই সমস্যা ছোট থেকে বড় সকলের হচ্ছে।
প্রশাসনকে তোপ
এই অবস্থায় দিল্লির রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকার দুই শিবিরকে নিয়েই আমজনতা ক্ষুব্ধ। স্বেচ্ছ্বাসেবি সংগঠনগুলিও সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা সাধারণ মানুষকে এগিয়ে এসে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছে। নিজের চারপাশের পরিবেশ রক্ষা করে যতটা পারা যায় ক্ষতি আটকাতে মানুষ উদ্যোগ নিক, এমনই দাবি করা হয়েছে।