বায়ু দূষণ কোভিড–১৯–এ অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, জানিয়েছে নতুন সমীক্ষা
বায়ু দূষণ কোভিড–১৯–এ অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে
দীর্ঘসময় ধরে চলা বায়ু দূষণ সার্স–কোভ–২ ভাইরাসে আগেই আক্রান্ত হয়েছেন এমন মানুষের মধ্যে কোভিড–১৯–এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। স্পেনে হওয়া এক সমীক্ষা এরকমই তথ্য জানিয়েছে। বুধবার এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এনভায়রোমেন্ট হেল্থ পারসপেক্টিভ জার্নালে। এই জার্নালে বায়ু দূষণ হ্রাস হলে স্বাস্থ্যের উপকারিতা ও সংক্রমক রোগের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই
গবেষণায়
বলা
হয়েছে,
পূর্ববর্তী
গবেষণায়
দেখা
গিয়েছে
যে
বায়ু
দূষণের
উচ্চ
প্রাক–মহামারি
স্তরের
অঞ্চলগুলিতে
কোভিড–১৯–এর
কেস
ও
মৃত্যুর
ঘটনা
বেশি
দেখা
গিয়েছে।
তবে
এখনও
পর্যন্ত
এর
কারণ
স্পষ্ট
করে
বলা
হয়নি।
গবেষকদের
মতে,
বায়ু
দূষণ
বায়ু
বাহিত
ভাইরাসের
পক্ষে
হতে
পারে
অথবা
এটি
সংক্রমণ
বা
রোগের
জন্য
একজন
ব্যক্তির
সংবেদনশীলতা
বাড়াতে
পারে।
স্পেনের
বার্সেলোনা
ইনস্টিটিউট
অফ
গ্লোবাল
হেল্থের
(আইএসগ্লোবাল)
মানোলিস
কোজেভিনাস,
যিনি
এই
গবেষণার
প্রথম
লেখক
তিনি
বলেন,
'সমস্যা
হল
যে
পূর্ববর্তী
গবেষণাগুলি
রিপোর্ট
করা
কেসগুলির
উপর
ভিত্তি
করে
ছিল,
যা
ডায়গনোস
করা
হয়েছিল,
কিন্তু
উপসর্গ
নেই
বা
ডায়গনোস
করা
নেই
এমন
কেসগুলি
নিয়ে
কোনও
গবেষণা
করা
হয়নি।’
গবেষকরা কাটালোনিয়াতে বসবাসকারী কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের ভাইরাস–নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডিগুলির ওপর গবেষণা করেছিলেন, এদের প্রত্যেকে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (এনও২), ক্ষুদ্র কণা পদার্থ (পিএম ২.৫), কালো কার্বন ও ওজোনের মতো বায়ু দূষণে দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত। এই গবেষণার আর এক গবেষক ক্যাথরিন টনি বলেন, 'মহামারির আগে বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসা, সার্স–কোভ–২ সংক্রমণ ও রোগের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্ক বোঝার জন্য এটাই প্রথম গবেষণা।’ এই গবেষণা করা হয় ৯,৬০৫ জনের ওপর যাদের মধ্যে ৪৮১ জন নিশ্চিত কোভিড–১৯ কেসের রোগী। পাঁচটি ভাইরাল অ্যান্টিজেনের আইজিএম, আইজিএ এবং আইজিজি অ্যান্টিবডির উপস্থিতি এবং পরিমাণ নির্ধারণের জন্য চার হাজার জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের রক্তের নমুনাও নেওয়া হয়েছিল, যা শরীরকে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে ১৮ শতাংশের মধ্যে ভাইরাস–নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু সংক্রমণ ও বায়ু দূষণের মধ্যে কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। যদিও সংক্রমিত হয়েছে এমন মানুষের মধ্যে এনও২ ও পিএম২.৫–এর মধ্যে উচ্চ যোগাযোগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে এবং পাঁচটি ভাইরাল অ্যান্টিজেনের মধ্যে আইজিজির স্তর বাড়তে দেখা গিয়েছে, যা উচ্চ ভাইরালের বোঝা ও উপসর্গের তীব্রতার দিকে ইঙ্গিত দেয়।
প্রসঙ্গত, করোকালে বায়ুদূষণ রোগীদের আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই বিষয়ে গবেষকরা বলেন, 'একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে যে দূষিত বায়ুতে ভাইরাস সাধারণের থেকে বেশি সময় থাকতে পারে। ফলে এটি বায়ু দ্বারা সংক্রামিত রোগে পরিণত হতে পারে। ২০০৩ সালে সার্স সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর অপর একটি গবেষণার তথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, আমেরিকা, ইটালির মতো দেশ,যেখানে দূষণের মাত্রা বেশি, সেখানে যারা আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন, তাদের প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ফুসফুসে প্রদাহ থেকে শুরু করে চিরতরে ক্ষতি অবধি হতে পারে। করোনা সংক্রমণ ও দূষণ মিলিতভাবে মৃত্যুর হার আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।’