এয়ার ইন্ডিয়ার ককপিটে বিমানচালককে মারধরের অভিযোগ সহচালকের বিরুদ্ধে
নয়াদিল্লি, ৬ এপ্রিল : দিনে দিনে বাড়ছে বিমান পরিষেবার প্রতিযোগীরা। আর তার প্রভাব কিছুটা পড়ছে বিমান চালকদের মানসিক পরিস্থিতির উপরও। এই ধরণের মানসিকতার আরও একবার সাক্ষী থাকল এয়ার ইন্ডিয়ার ককপিট। রবিবার সন্ধ্যাবেলায় জয়পুর থেকে বিমান ওড়ার আগে ককপিটের ভিতর সহ-চালকের হাতে হেনস্থা হতে হল বিমানচালককে। সহচালককে ক্যাপ্টেনকে মারদর করে বলেও অভিযোগ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যায়। এআই ৬১১ জয়পুর থেকে দিল্লি ওড়ার জন্য প্রস্তুত। ক্যাপ্টেন তাঁর সহ -চালককে বলেন বিমান ওড়ার ক্ষেত্রে 'ক্রিটিক্যাল' সংখ্যাগুলি একটা কাগজে লিখে নিতে। যার মধ্যে থাকবে যাত্রী সংখ্যা, কতজন বিমানে রয়েছেন. জ্বালানীর পরিমাণ প্রভৃতি। যে কাগজটিতে লেখা হবে সংখ্যাগুলি তা দিল্লি যাওয়া পর্যন্ত বিমানচালকের চোখের সামনে থাকবে। কিন্তু এই বিষয়টিই ঠিক ভাবে মেনে নিতে পারেননি ওই সহ-চালক। এরপর আচমকাই ক্যাপ্টেনকে ককপিটের মধ্যে মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
নিয়ম অনুযায়ী, ঘটনাটি যেহেতু জয়পুরে ঘটেছে তাই অভিযোগ দায়েরও জয়পুরেই করা উচিত। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে প্রহৃত বিমানচালক জয়পুরে অভিযোগ না করে দিল্লিতে বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে যান বলে সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। কারণ অভিযোগ জানানো হলে বিমানটি বাতিলও হতে পারত। ফলে বহু যাত্রী সমস্যার মুখে পড়তেন।
যদিও এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, ক্যাপ্টেন ও সহ চালকের মধ্যে বচসা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার বেশী কিছু নয়। যদিও এয়ার ইন্ডিয়ার এক সিনিয়র কমান্ডারের কথায় এর আগেও এই সহ চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। ৩ বছর আগে এক বিমানচালকে অভিযুক্ত সহচালক ককপিট নেমে যেতে বলে। এমনকী তাঁর কাঁধের তারাও খুলে দিতে দিতে বলে, তারপর মারপিটও করে। একবছর আগও একবার বিমানচালকরে সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল।
বিমানচালকদের একাংশ মনে করছেন এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। দোষী সাব্যস্ত হলে ওই সহ- বিমান চালককে কড়া শাস্তিও দেওয়া উচিত।