মহিলাদের হজযাত্রায় মোদীর মতের বিরোধিতা, এমনই মত মুসলিম পার্সোলাল ল বোর্ডের
'মেহরাম' অর্থাৎ পুরুষ অভিভাবক ছাড়া হজযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে একমত নয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। বিষয়টি ধর্মীয়। এই যুক্তিতে বিষয়টি আইনসভায় তোলার বিরোধিতা করেছে এআইএমপিএলবি।
'মেহরাম' অর্থাৎ পুরুষ অভিভাবক ছাড়া হজযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে একমত নয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। বিষয়টি ধর্মীয়। এই যুক্তিতে বিষয়টি আইনসভায় তোলার বিরোধিতা করেছেন এআইএমপিএলবি-র সেক্রেটারি মৌলানা আব্দুল হামিদ আজহারি।
৯৯ শতাংশ মুসমিল তাদের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের মত অনুযায়ী চলেন বলে দাবি করল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী কিংবা অন্য কেউ কিছু বললে তা মেনে চলা যায় না বলেই মন্তব্য করেছে এআইএমপিএলবি।
এআইএমপিএলবি-র সেক্রেটারি মৌলানা আব্দুল হামিদ আজহারির দাবি, ইসলামের মত অনুযায়ী, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া একজন মহিলা একাকি তিনদিনের বেশি এবং একটানা ৭৮ মাইলের বেশি কোথাও যেতে পারেন না। তাঁর মতে, যদি কোনও মহিলার পুরুষ অভিভাবক না থাকে, কিংবা পুরুষ অভিভাবককে হজে নিয়ে যাওয়ার টাকা না থাকে, সেক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়।
রবিবার ৩৯ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, লটারির মাধ্যমে হজযাত্রীদের চিহ্নিত করার সময় একাকি মহিলা যাঁরা হজে যেতে চান, তাঁদেরকে সেই তালিকা বাদ দেওয়ার কথা বলেন। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মুসলিম মহিলাদের অন্তত চারজনের দলকে হজযাত্রায় অনুমতি দেওয়া হবে।
নারী আন্দোলনের কর্মী সুধা রমালিঙ্গম প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে সমর্থন করলেও, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় নতুন কিছুই নেই বলে মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় বর্তমান আইনে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সৌদি আরবের ঘোষণাতেই রয়েছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সের কোনও মহিলা একাই হজে যেতে পারেন। কিন্তু তিনি কোনও দলের সঙ্গে গেলে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতিপত্র নিতে হয়।