গত ৮ মাসে ভেঙে পড়েছে শাসন ব্যবস্থা! লোকসভার আগে 'বিদ্রোহ' বিজেপির জোট সঙ্গীর
গত আট মাসে মনোহর পারিকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত শাসনভার হস্তান্তর করা। শনিবার এমনটাই মন্তব্য করেছে রাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী এমজিপি।
গত আট মাসে মনোহর পারিকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত শাসনভার হস্তান্তর করা। শনিবার এমনটাই মন্তব্য করেছে রাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ স্বাস্থ্যের কারণে মনোহর পারিকরের পরিবর্তন দাবি করেছিলেন।
জোট সঙ্গীর দাবি
গোয়ায় বিজেপির জোট সঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির প্রেসিডেন্ট দীপক দাভালিকর এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পারিকরের বিকল্প খোঁজার জন্য সরকারকে জানাতে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর শরীর খারাপের কারণে গত আটমাস ধরে প্রশাসন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ জোট সঙ্গীর। তাঁর উচিত খুব তাড়াতাড়ি দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
ক্যানসারে আক্রান্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী
অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকর। দীর্ঘ সময় তিনি গোয়ার বাইরে, মুম্বই, নিউ ইয়র্ক এবং দিল্লির হাসপাতালে কাটিয়েছেন। দিল্লির এআইআইএমএস থেকে ১৪ অক্টোবর তিনি ছাড়া পান। এরপর থেকে গোয়ার বাড়িতেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিরোধীদের সঙ্গে শাসকদলের জোট সঙ্গী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে। সবারই অভিযোগ, প্রশাসনের কাজ থমকে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি করেছিলেন
এর আগে কেন্দ্রীয় আযুষমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শ্রীপদ নায়েক বলেছিলেন, রাজ্যে দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আজ কিংবা কাল করতেই হবে। তিনি বলেছিলেন, সবাই জানেন মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নয়। তিনি কোন পরিস্থিতিতে কাজ করছেন তা অনেকেই জানেন।
গোয়ায় বিজেপির সঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ( এমজিপি) এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি) ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, যতদিন মনোহর পারিকর মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, ততদিন তারা সমর্থন দিচ্ছেন।
৪০ আসনের বিধানসভায় বিজেপির আসন ১৪
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৪। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে এমজিপি এবং জিএফপি-র ৩ জন করে বিধায়ক। এছাড়াও ৩ নির্দল বিধায়ক মনোহর পারিকরের সরকারকে সমর্থন করছে। ফলে সরকারে টিকে থাকতে গেলে ২১ বিধায়কের সমর্থন জরুরি। সেই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি ( এমজিপি) এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি)র সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
তবে রাজ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি উঠলেও, বিজেপির তরফে তা বারবার অস্বীকার করা হচ্ছে।