ভোট পরবর্তী হিংসা ত্রিপুরায়, মানিক সরকারের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন অধীর
Array
২৬ জুন উপ-নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে দলীয় কর্মী ও নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে সোমবার সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কংগ্রেসের দল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সাথে দেখা করল।
তিন সদস্যের দল ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি বিরাজিত সিনহার সাথেও দেখা করেছে। তিনি পার্টির সদর দফতরের সামনে তাঁর সলের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষে সময় আহত হন তাঁর সঙ্গে আরও ১৯ জন আহত হয়েছিলেন ওই ঘটনায়। টিপিসিসি মিডিয়া ইনচার্জ আশিস কুমার সাহা এমনটাই বলেছেন।
চারটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে, বিজেপি তিনটি এবং কংগ্রেস একটি জিতেছে। গেরুয়া দলের তিন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে একজন মুখ্যমন্ত্রী। আশিস কুমার সাহা বলেন , "বিজেপি রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার খোয়াইতে দলের জেলা সদর দফতর এবং দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়া মহকুমার একটি পার্টি অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে।"
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে এআইসিসির তিন সদস্য সোমবার আগরতলায় পৌঁছায়। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী উপনির্বাচনের ঘোষণার পর থেকে বিরোধী নেতা ও কর্মীদের উপর "হামলা" করার নিন্দা করেন।
তিনি বলেছিলেন, "উত্তর ত্রিপুরার হাফলং এলাকায় আমাদের পার্টি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। আমরা শুনেছি যে রবিবার খোয়াইতে আইপিএফটি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা এবং অন্য নেতার গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। আমরা অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করছি।"
বিজেপি অবশ্য বিরোধী দলের কর্মীদের উপর দলের কর্মীদের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেছেন, "গতকাল একটি আসন জিতে কংগ্রেসই আগরতলায় হিংসা শুরু করেছিল। প্রত্যেক ব্যক্তির আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। যদি বিরোধীরা হিংসা চালিয়ে যায়, বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ করবে," । তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছেন।
পুরসভা ও নগর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ত্রিপুরায় মানুষের সমর্থন পাওয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কোনও ছাপ রাখতে পারেনি। চারটি কেন্দ্রেই তারা চতুর্থস্থানে এবং চার কেন্দ্রেই তাদের জমানত জব্দ হয়েছে। যা নিয়ে এদিন তীব্র কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হেঁটে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ডাকছেন খোদ বাইডেন! দেখেছেন সেই মুহূর্তটা?
ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিপর্যয়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রথমেই বলেছেন, গরুরগাড়ির হেডলাইট। তিনি টুইটে লিখেছেন, ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল "সর্বভারতীয়" তৃণমূল কংগ্রেস ৪টি আসনেই ৪ নম্বর স্থানে বিরাজমান। পশ্চিমবঙ্গের টাকা বয়ে নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরায় বেহিসাব খরচ করার ফল হলো ২.৮% ভোট পেয়ে নোটাকে হারিয়েছে।