কড়া অ্যাজেন্ডা সাজিয়ে তৈরি কৃষকরা, কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ছক সাজিয়ে রাখলেন অমিত শাহও
কড়া অ্যাজেন্ডা সাজিয়ে তৈরি কৃষকরা, কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ছক সাজিয়ে রাখলেন অমিত শাহও
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বুধবার ফের কৃষকরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। তার আগে নিজেদের মধ্যেি আলোচনাটা সেরে রাখলেন আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠনের প্রতিনিধি। এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন তাঁরা। আবারও সেই কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং এমএসপি নিয়ে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন তাঁরা। আগাম আলোচনা করে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা সেরে রেখেছেন তাঁরা। অন্যদিকে আবার অমিত শাহও কৃষিমন্ত্রী ও পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করে ছক সাজিয়ে ফেলেছেন।
আগামিকাল ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক
আগামিকাল ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিষাণ নিধি প্রকল্পের অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে কৃষকদের সঙ্গে সরকার খোলা মনে ফের বৈঠকে বসতে চায় বলে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাতে সাড়া দিয়েই কৃষকরা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছিল। এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনেই ৩০ তারিখ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়।
এজেন্ডা নির্দিষ্ট করলেন কৃষকরা
প্রথম থেকেই আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি ছিল কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। বুধবারের বৈঠকেও সেই এজেন্ডাতেই অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সময়ুক্ত কিষাণ মোর্চা যাতে ৪০ টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি রয়েছে। তাঁরা খোলা চিঠিতে নিজেদের অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে আর এমএসপি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে। একই সঙ্গে খোলা চিঠিতে সরকারের আলোচনায় বসার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শাহের
কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে নিজেদের রণকৌশন ঝালিয়ে নিয়ে মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক করেন তাঁরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পীযূষ গোয়েলও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে ৬ বার সরকারের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠক ব্যার্থ হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও বৈঠক করেছেন কৃষকদের সঙ্গে কিন্তু তাতে সমস্যার সুরাহা হয়নি। কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
মোদীর অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছেন কৃষকদের। কৃষি বিলে কৃষকদের আয় বাড়বে। তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সরকার এই আইন তৈরি করেছেন। সরকারের সেই আইকে কৃষকদের কাছে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম তিন রাজনৈতিক দলকেই এই নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।