নীতীশকে কোন অস্ত্রে মাৎ দেবেন বিরোধীরা, ১৫ বছরের শাসনের খুঁত কোথায়! নজরে উন্নয়নের খতিয়ান
নীতীশকে কোন অস্ত্রে মাৎ দেবেন বিরোধীরা, ১৫ বছরের শাসনের খুঁত কোথায়! নজরে উন্নয়নের খতিয়ান
১৫ বছরের বিহার শাসনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর কাছে। সেই শাসন জঙ্গলরাজ নয়, উন্নয়েনের পথে নিয়ে গিয়েছে বিহারকে। গোটা দেশের উন্নয়নর মোট হিসেব পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে নীতীশের শাসনে বিহার অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান হিসেব করলে সেই উন্নয়ন তো অনেকটাই বেশি দেখা যাচ্ছে। কৃষি, শিক্ষা, পরিকাঠামো উন্নয়নে নীতীশ সরকারের বিনিয়োগ বেশ নজরে পড়ার মতো। কিন্তু তার পরেও বেশ কিছু খুঁত রয়েছে গেছে নীতীশের সুশাসনে।
বিহারে বিধানসভা ভোট
করোনা আবহে বিহারের বিধানসভা ভোট হচ্ছে। নিউ নর্মাল ভোটে প্রথম পরীক্ষা দেবে বিহার। তাই একটু বেশিই নজরে রয়েছে বিহার। একাধিক ক্ষেত্রে নির্দেশিকা আর গাইডলাইনের ঘেরাটোপে হচ্ছে ভোট। প্রচার থেকে ভোটদান সবেতেই নতুন নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। যার ফলে অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলকেই।
নীতীশের ১৫ বছরের শাসন
১৫ বছর ধরে নীতীশ বিহার শাসন করছেন। ২০১৫-র বিধানসভা ভোটে তখন প্রথম এনডিএ ছেড়ে একা লড়াইনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু বেশিদিন লালুর সঙ্গে নীতীশের বন্ধত্ব টেকেনি। ২০১৭-য় লালুর হাত ছেড়ে ফের বিজেপির হাত ধরেন নীতীশ। ফিরে আসেন এনডিএ জোটে।
নীতীশের উন্নয়ন
গত ১৫ বছরের শাসনে বিহারের একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন নীতীশ। বিশেষ করে গ্রামীণ বিহারে গরিব মানুষের আয় বেড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্র, স্বাস্থ্য এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশি বিনিয়োগ করেছেন নীতীশ কুমার। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে বিহারে শিল্পক্ষেত্রে ৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল। এরই মধ্যে আবার বিহার ঝাড়খণ্ড আলাদা হয়ে যায়। শুধু শিল্পক্ষেত্র নয় কৃষি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন ঘটেছে নীতীশের শাসনে। কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে জেডিইউ সরকার ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল ঠিকই। তাতে সুফল এসেছে। কারণ বিহারের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভর করেন। চাল, গম, ডালের চাষ বেড়েছে গত ৫ বছরে।
নীতীশের খামতি
সব সরকারের মতোই নীতীশের সুশাসনেও খামতি রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কর্মসংস্থান, শিল্প, পরিশ্রুত পানীয় জল, শৌচাগার নির্মাণ, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ একাধিক প্রকল্পে ধাক্কা খেয়েছেন নীতীশ কুমার। এই ক্ষেত্রগুলিতে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। আর এই খুঁতকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই বিহারে বেকারত্ব নিয়ে সুর চড়ােত শুরু করেছেন আরজেডির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব।