বিক্ষোভকারীরা কৃষক নন, মোদী বিরোধী! দিল্লি সীমানার আন্দোলন ঘিরে চরমে বিতর্ক
রাস্তা যাঁরা নেমেছেন, তাঁরা 'অ্যান্টি মোদী' বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী। এঁদের কেউই কৃষক নয়। এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার সফলতার সঙ্গেই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কৃষক সংগঠনগুলি নিজেদের মধ্যেই ঐক্যমতে আসতে পারছেন না।
কৃষকদের আন্দোলনে সমাজ বিরোধীদের উপস্থিতি
এদিকে কৃষকদের আন্দোলনে সমাজ বিরোধীদের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল আগেই। কেন্দ্রের তরফে একটি অভিযোগ ওঠে যে কৃষক আন্দোলনে বহু সমাজ বিরোধীরাও সামিল হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কৃষকদের আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে বামদল, মাওবাদী শিবিরগুলি। সেই প্রেক্ষাপটেই আসে সমাজ বিরোধীাদের প্রসঙ্গ।
কৃষকদের অনশন কর্মসূচি
আগেই অনশন কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। এবার কৃষকদের তরফে নির্দিষ্ট করা জানিয়ে দেওয়া হল, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অবধি অনশন আন্দোলন করবেন তাঁরা। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ধরনা চলবে আগের মতোই।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলন অব্যাহত
এদিকে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা। এখনও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ইতিমধ্যে ১১টি রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে আন্দোলন। বিপাকে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে কৃষকরা আইন সংশোধন নয়, বাতিলের দাবিতে অটল থাকায় সমাধান হয়নি সমস্যার।
১৯তম দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন
এর মাঝেই দেখতে দেখতে ১৯ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। ইতিমধ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আন্দোলনকে সমর্থন করে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ একদিনের অনশন ধরনায় বসতে চলেছেন কৃষকরা। যা চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও অনসনে যোগ দিচ্ছেন।
প্রকাশ্যে কৃষক সংগঠনগুলির অন্তর্দ্বন্দ্ব! রাস্তার অবরোধ সরানো ঘিরে আন্দোলনে চিড়?