সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এজিপি ও অসম সাহিত্য সভা, আলাদা দল গড়বে আসু
সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এজিপি ও অসম সাহিত্য সভা, আলাদা দল গড়বে আসু
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তর–পূর্ব ভারত, বিশেষ করে অসমে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। রাজ্যের সব জায়গাতেই জারি হয়ে গিয়েছে কারফিউ। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয় গেরুয়া শিবিরের জোট দল এবং অসম সরকারের শরিক অসম গণ পরিষদ (এজিপি)। তারা এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দলের প্রধান তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুমার দীপক দাস বলেন, 'অসমবাসী তাঁদের পরিচয়, ভাষা সংশয়ের মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে, তাই আমরা এই সংশোধিত আইনটিকে প্রত্যাহার করার জন্য আইনি পথে যাব।’ সূত্রের খবর, কুমার দীপক দাসের নেতৃত্বে এজিপির প্রতিনিধিরা সোমবার সন্ধ্যাতেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখানে গিয়ে আইন সংশোধন প্রত্যাহারের জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানাবেন তাঁরা। ১৮ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ক্যাবকে সমর্থন করার জন্য এজিপি সভাপতি অতুল বোরার ওপর অসন্তুষ্ট দল। তিনি জানিয়েছেন যে দল এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। অতুল বোরা বলেন, 'এখনও আমরা কিছু ঠিক করিনি। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের কিছু বন্ধু দিল্লি যাচ্ছেন।’
অন্যদিকে অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (আসু), রবিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ করার সময় ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা আলাদা একটি দল গড়বে রাজ্যের শিল্পী সমাজকে নিয়ে। যারা বিজেপি–এজিপির পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরোধী দল হিসাবে পরিচিত হবে। আসুর সভাপতি দীপঙ্ক নাথ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের 'শান্তি ও সম্প্রীতির কনসার্টে’ গিয়ে জানান যে জুবিন তাঁকে আলাদা দল গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে দীপঙ্ক নাথ। তবে এখনও নিশ্চিত কিছু জানানো হয়নি এ বিষয়ে। দীপঙ্ক নাথ জানান, তিনি শিল্পী সমাজ ও অসমের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে তবেই আলাদা দল গড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।
রবিবার অসমের পরিস্থিতি একটু হলেও শুধরেছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার সকালে কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া হলেও, আবার সন্ধ্যা ৬টায় ফের গুয়াহাটি ও অসমের উঁচু জায়গাগুলিতে কারফিউ জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলিতে আহত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজন। সরকারিভাবে যদিও তা চারজন বলা হয়েছে। রাজ্যের প্রধান সাহিত্য সংগঠন অসম সাহিত্য সভাও ক্যাবের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
২০১৯ নাগরিকত্ব আইন ঘিরে বিক্ষোভ:আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত,কী পরিস্থিতি ক্যাম্পাসে